মক্কা শরিফের জুমার খুতবা
ভালোবাসা হোক আল্লাহর জন্য
শায়খ ড. মাহের আল মুআইকিলি
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ভালোবাসার আলোচনা অন্তরে এনে দেয় এক ভাব ও মুগ্ধতা। ভালোবাসার রয়েছে কিছু প্রাকৃতিক নিদর্শন। ভালোবাসা যাপিত জীবনে এনে দেয় আনন্দের এক নতুন মাত্রা। আত্মাকে করে দেয় জ্যোর্তিময় ও প্রশান্ত। ভালোবাসা আল্লাহর অনন্য গুণাবলির একটি। তিনি সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন। ভালোবাসেন তওবাকারী, পরহেজগার, মুত্তাকিদের। তিনি ভালোবাসেন ধৈর্যশীল বান্দাদের। তিনি ঈমান আনায়ন ও সৎকর্ম সম্পাদনকে ভালোবাসা ও তাঁর সন্তুষ্টি হাসিলের মাধ্যম সাব্যস্ত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, পরম দয়াময় তাদের জন্য (পারস্পরিক) সম্প্রীতি সৃষ্টি করবেন।’ (সুরা মারইয়াম : ৯৬)।
ভালোবাসায় ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভিন্নতা : ভালোবাসা আদম (আ.) থেকে আজ পর্যন্ত সৃষ্টিগত বিষয় হয়েই বিদ্যমান। মানবজাতি এ ধরায় যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন ভালোবাসা বিদ্যমান থাকবে। তবে ভালোবাসার মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভিন্নতা রয়েছে। যেমন- পিতামাতার সন্তানকে ভালোবাসা, বন্ধুবান্ধবকে ভালোবাসা, দেশ ও জাতিকে ভালোবাসা, প্রকৃতি ও সৃষ্টিকে ভালোবাসা- এসব ভালোবাসার ওপর বৈচিত্র্যতা নিদর্শন বহন করে। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন, ?‘ভালোবাসা হলো ঈমান-আমলের রুহ। যদি ভেতরে ভালোবাসা না থাকে, তাহলে সে শরীর প্রাণহীন নিথর শরীরে রূপ নেয়।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ঈমানের নিদর্শন : আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ঈমানের অন্যতম নিদর্শন। সত্য ও সততা এবং ইহসানের নিদর্শন ও দলিল। এর মাধ্যমেই মানুষ ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করে। আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হিসেবে গণ্য। এর দ্বারাই তাকে ভালোবাসা ও সন্তুষ্ট করা হয়। আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসলে যেমনিভাবে সে উপকৃত হয় (যেমন- তাকে সৎ কাজে সহযোগিতা করা, সত্য ও ধৈর্যের পথে থাকার নসিহত করা), তদ্রূপ পরকালেও তার জন্য সুমহান স্থান নির্ধারিত থাকবে।
যার সঙ্গে মহব্বত তার সঙ্গেই কেয়ামত : কেয়ামতের দিন যার সঙ্গে যার মহব্বত, তাকে তার সঙ্গে উপস্থিত করা হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি মুহাম্মদ (সা.) ও তার সাহাবিদের ভালোবেসেছে এবং তার সুন্নাহর পাবন্দ করেছে, আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিন তাকে তাদের সঙ্গে একত্রিত করবেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! কেয়ামত কবে সংঘটিত হবে?’ তিনি বললেন, ‘তুমি তার জন্য কি সংগ্রহ করেছ?’ তখন সে বেশি কিছু উল্লেখ করতে পারল না। শুধু বলল, ‘কিন্তু আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে মহব্বত করি।’ তিনি বললেন, ‘তুমি তার সঙ্গেই থাকবে, যাকে তুমি মহব্বত কর।’ (মুসলিম : ৬৪৭১)।
আল্লাহকে ভালোবাসার অনন্য প্রতিদান : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, যেদিন সবাই ভীতসন্ত্রস্ত হবে, দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা কষ্টসাধ্য হবে, যেদিনের একদিন ৫০ হাজার বছরের সমান হবে, সেদিন আল্লাহতায়ালা বলবেন, ‘আমার বড়ত্বের জন্য মহব্বতকারীরা কোথায়?
আজ আমি তাদের আমার ছায়ায় আশ্রয় দান করব। এখন আমার ছায়া ছাড়া কোনো আশ্রয় নেই।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া অন্য কোনো আশ্রয় থাকবে না, সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহতায়ালা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। তারা হলো- ১. ন্যায়পরায়ণ শাসক, ২. সে যুবক, যার জীবন গড়ে উঠেছে তার রবের ইবাদতের মধ্যে, ৩. সে ব্যক্তি, যার কলব মসজিদের সঙ্গে লেগে রয়েছে, ৪. সেই দুই ব্যক্তি, যারা পরস্পরকে ভালোবাসে আল্লাহর ওয়াস্তে, একত্র হয় আল্লাহর জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহর জন্য, ৫. সে ব্যক্তি, যাকে কোনো উচ্চ বংশীয় রূপসী নারী আহ্বান জানায়, কিন্তু সে এ বলে তা প্রত্যাখ্যান করে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, ৬. সে ব্যক্তি, যে এমন গোপনে দান করে, তার ডান হাত যা খরচ করে, বাম হাত তা জানে না, ৭. সে ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহর জিকির করে। ফলে তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়।’ (বোখারি : ৬২৭)।
প্রেমাষ্পদের অনুপস্থিতে দোয়া ও অনুগ্রহ করা অন্তরের বিশুদ্ধতা : প্রেমাষ্পদের অনুপস্থিতে তার জন্য দোয়া ও অনুগ্রহ করা অন্তরের বিশুদ্ধতার প্রমাণ। এটাই মহব্বতের ফলাফল। সুতরাং সে তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর তার প্রতি অনুগ্রহ করে। আর যেই ব্যক্তি তার মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করে, সে যেন নিজের জন্য দোয়া করে। তার ওপর ইহসান করে যেন নিজের ওপরও ইহসান করে। সে আল্লাহতায়ালার কাছে অধিক সওয়াবের অধিকারী একজন বান্দা হয়। নবীজি (সা.) খাদিজা (রা.)-এর প্রতি তার ভালোবাসা ও মহব্বতের কথা বেশি বেশি আলোচনা করতেন। তার ইন্তেকালের পর তার জন্য দোয়া-ইস্তেগফার করতেন। বকরি জবাই করে খাদিজা (রা.)-এর বান্ধবীদের হাদিয়া দিতেন। একবার এক বৃদ্ধা মদিনায় এলো। রাসুল (সা.) জানতে পারলেন, সে খাদিজা (রা.)-এর কাছে আসা-যাওয়া করত। তাই তাকে খুব সম্মান ও ইজ্জত করলেন। বললেন, ‘উত্তম আচরণ ঈমানের অঙ্গ।’
মুসলমানের জন্য দোয়া করা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ : উম্মে দারদা (রা.)-এর স্বামী সাফওয়ান ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সাফওয়ান (রহ.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, আমি সিরিয়াতে গেলাম। সেখানে আবু দারদা (রা.)-এর ঘরে গেলাম। আমি তাকে ঘরে পেলাম না; বরং সেখানে উম্মে দারদাকে পেলাম।
তিনি বললেন, ‘আপনি কি এ বছর হজ পালন করবেন?’ আমি বললাম, ‘জ্বী।’ তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে আমাদের কল্যাণের জন্য দোয়া করবেন। কেননা, নবীজি (সা.) বলতেন, ‘একজন মুসলিম বান্দা তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করলে তা কবুল হয়। তার মাথায় একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য দোয়া করে, তখন নিয়োজিত ফেরেশতা বলে থাকে, আমিন; তোমার জন্যও অনুরূপ।’ তিনি বলেন, এরপর আমি বাজারের দিকে বেরুলাম। আর আবু দারদা (রা.)-এর দেখা পেলাম। তখন তিনি আমাকে তার অনুরূপ নবীজি (সা.) থেকে বর্ণনা করলেন। (মুসলিম : ৬৬৮০)।
মহামনীষীরা তাদের নামাজেও অন্যের জন্য দোয়া করতেন : মহামনীষীদের সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তারা তাদের ভাইদের জন্য নামাজে দোয়া করতেন। সিয়ারু আলামিন নুবালাতে উল্লেখ আছে, আবু দারদা (রা.) বলেন, ‘আমি সেজদায় আমার ভাইদের পিতার নাম ধরে সত্তরজনের জন্য দোয়া-ইস্তেগফার পড়তাম।’ ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.) ইমাম শাফেয়ি (রহ.)-কে বলেন, ‘আমি নামাজে যে ছয়জনের জন্য দোয়া করি, আপনার পিতা তাদের একজন।’
ইসলাম মানুষকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে : ইসলামি শরিয়া আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করেছে। আর বুদ্ধিমান ব্যক্তি তার উত্তম আচরণের মাধ্যমে মানুষের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। তাদের সঙ্গে নম্রতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গঠন করে। কতই না সুন্দর সে দৃশ্য, মানুষ পরস্পরকে ভালোবাসে। সুতরাং খাঁটি মোমিন সে-ই, যে মানুষকে ভালোবাসে এবং মানুষও তাকে ভালোবাসে। নবীজি (সা.)-এর সিরাতে ভালোবাসার এমন বহু দৃষ্টান্ত ও নজির বিদ্যমান। হাসিমুখে মানুষকে অভিবাদন জানানো, প্রিয়জনকে সুসংবাদ প্রদান করা এমনই বিষয়, যা হৃদ্যতা সৃষ্টি করে। আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, নবীজি (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘কোনো কিছু দান করাকে তুচ্ছ জ্ঞান করো না, এমনকি (অপারগতায়) তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাকেও।’ (মুসলিম : ৬৪৫১)।
কথায় বা কাজে সঙ্গীকে ভালোবাসা প্রকাশ : কথায় বা কাজে সঙ্গীকে ভালোবাসা প্রকাশ করতে নবীজি (সা.) নির্দেশ করেছেন। কেননা, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়। ভালোবাসা সুদৃঢ় ও মজবুত হয়। আনাস ইবনে মালেক (রা.) সূত্রে বর্ণিত; এক লোক নবীজি (সা.)-এর কাছে উপস্থিত ছিল। এ সময় অন্য এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি অবশ্যই এ ব্যক্তিকে ভালোবাসি।’ নবীজি (সা.) তাকে বললেন, ‘তুমি কি তাকে তোমার ভালোবাসার কথা জানিয়েছ?’ সে বলল, ‘না।’ তিনি বললেন, ‘তুমি তাকে জানিয়ে দাও।’ বর্ণনাকারী বলেন, সে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলল, ‘আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি।’ সে বলল, ‘যাঁর উদ্দেশ্যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন, তিনিও আপনাকে ভালোবাসুন।’ (সুনানে আবি দাউদ : ৫১২৫)।
পরস্পরে মাঝে যেভাবে ভালোবাসা বাড়ে : অসুস্থতায় দেখতে যাওয়া, বিপদে পাশে দাঁড়ানো, দোষত্রুটি গোপন রাখা, পদস্খলনে ও ভুলে না দেখার ভান করা, সুধারণা রাখা, সালাম প্রদান করা, পরস্পরে সাক্ষাৎ করা, হৃদ্যতা বজায় রাখা- এতে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা বাড়ে। আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; নবীজি (সা.) বলেছেন, এক ব্যক্তি তার ভাইকে দেখার জন্য অন্য এক গ্রামে গেল। আল্লাহতায়ালা তার জন্য রাস্তায় একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করলেন। সে ব্যক্তি যখন ফেরেশতার কাছে পৌঁছাল, তখন ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করেছ?’ সে বলল, ‘আমি এ গ্রামে আমার এক ভাইকে দেখার জন্য যেতে চাই।’ ফেরেশতা বললেন, ‘তার কাছে কি তোমার কোনো অনুগ্রহ আছে, যা তুমি আরও বাড়াতে চাও?’ সে বলল, ‘না। আমি তো শুধু আল্লাহর জন্যই তাকে ভালোবাসি।’ ফেরেশতা বললেন, ‘আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার কাছে এ পয়গাম নিয়ে এসেছি যে, আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসেন, যেমন তুমি তোমার ভাইকে তাঁরই জন্য ভালোবেসেছ।’ (মুসলিম : ৬৩১৬)।
মোমিন একে অপরের আয়না : একজন প্রকৃত ও খাঁটি প্রেমিক তার ভাইয়ের আয়নাস্বরূপ। ভুল করলে শুধরে দেয়। পরামর্শ চাইলে উত্তম পরামর্শ দেয়। তার বিপক্ষে শয়তানের সাহায্যকারী হয় না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; নবীজি (সা.)-এর কাছে এক ব্যক্তিকে আনা হলো। সে শরাব পান করেছিল।
তিনি বললেন, ‘একে তোমরা প্রহার কর।’ আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, তখন আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে প্রহার করল, কেউ জুতা দিয়ে, কেউ কাপড় দিয়ে। যখন সে ফিরে গেল, কেউ তার সম্বন্ধে মন্তব্য করল, আল্লাহতায়ালা তোমাকে লাঞ্ছিত করেছেন। নবীজি (সা.) বললেন, ‘এরূপ বলো না, শয়তানকে এর বিরুদ্ধে সাহায্য করো না।’ (বোখারি : ৬৩২০)।
উভয় জাহানে উপকারী বন্ধু নির্বাচন : সৎ বন্ধু গ্রহণ করা চাই। যাদের ডাকলে আমাদের সাহায্য করবে। আমরা ভুলে গেলে স্মরণ করিয়ে দেবে। গাফেল হলে স্মরণ করিয়ে দেবে। সফরে গেলে দোয়া করবে। মারা গেলে দোয়া-ইস্তেগফার করবে। যেদিন বন্ধু শত্রুতে পরিণত হবে, সেদিন এমন মহব্বত স্থায়ী ভালোবাসায় রূপ নেবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘বন্ধুরা সেদিন হয়ে পড়বে একে অন্যের শত্রু, মুত্তাকিরা ছাড়া।’ (সুরা যুখরুফ : ৬৭)। সেদিন অনেক বন্ধু অসৎ বন্ধু গ্রহণের ফলে লজ্জিত হবে। এমন বন্ধু থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘সীমালংঘনকারী সেদিন নিজ হাত দংশন করতে করতে বলবে, হায়! যদি রাসুলের সঙ্গে সৎপথ অবলম্বন করতাম। হায় দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম! আমাকে তো সে বিভ্রান্ত করেছিল আমার কাছে উপদেশ পৌঁছার পর। আর শয়তান তো মানুষের জন্য মহাপ্রতারক।’ (সুরা ফোরকান : ২৭-২৯)। যখন প্রকৃত প্রেমাষ্পদকে খাঁটি বন্ধু সুপারিশ করবে, সেদিন জাহান্নামিরা খাঁটি বন্ধু খুঁজবে; কিন্তু তা পাওয়া আর সম্ভব হবে না। আলী (রা.) বলেন, ‘তোমরা সুহৃদ ভাইদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কর। কেননা, তোমরা শয়তানকে বন্ধু বানালে তার সবই হিসাব হবে এবং পরকালে আফসোস করবে।’ যেমন কোরআনে কারিমে এসেছে, সেদিন তারা বলবে, ‘আমাদের কোনো সুপারিশকারী নেই। আর কোনো হৃদয়বান বন্ধুও নেই।’ (সুরা শুআরা : ১০০-১০১)।
মক্কার মসজিদে হারামে প্রদত্ত জুমার খুতবার সংক্ষেপিত অনুবাদ করেছেন মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াসিন