ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মহিমান্বিত কোরআন

আল কোরআন পৃথিবীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী নির্ভেজাল মহাগ্রন্থের নাম, যার ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। এ মহাগ্রন্থের অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে লিখেছেন- আ. স. ম আল আমিন
মহিমান্বিত কোরআন

আল্লাহর বাণী : পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বাণী হলো আল্লাহর কালাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সততা ও ইনসাফের দিক থেকে তোমার প্রতিপালকের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁর বাণী পরিবর্তন করার সাধ্য কারো নেই। তিনি হলেন সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আনআম : ১১৫)।

সহজ প্রকৃতি : আল কোরআনের ভাষা সহজ প্রকৃতির; তা বুঝতে হলে পড়তে হবে আধুনিক যুগের মানবরচিত আরবি কিতাবগুলো। আল কোরআনের মতো পৃথিবীর দ্বিতীয় কোনো গ্রন্থ এভাবে মানুষ মুখস্থ করতে দেখেনি; দেখাও যায়নি। আল্লাহতায়ালা কোরআনের তেলাওয়াতকে যেমন সহজ করেছেন, এর মর্মবাণী বোঝার ক্ষেত্রেও সহজ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি উপদেশ গ্রহণের উদ্দেশ্যে কোরআনকে সহজ করে নাজিল করেছি। উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে?’ (সুরা কমার : ৫৮)। আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, ‘আমি তোমার ভাষায় কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি; যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।’ (সুরা দুখান : ৫৮)।

অপ্রতিদ্বন্দ্বিতা : কোরআনের মতো আর কোনো গ্রন্থ পৃথিবীতে নেই যে, অন্যান্য গ্রন্থের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। একমাত্র কোরআনই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে যে, তার মতো একটি আয়াত বা একটি সুরা রচনা করে নিয়ে আসতে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি তাদের বলে দিন, যদি সমগ্র মানব আর জিন জাতি একত্রিত হয়ে এ কোরআনের মতো একখানা কিতাব রচনা করার জন্য প্রচেষ্টা চালায়, তবু তারা তা আনতে সক্ষম হবে না; যদিও তারা পরস্পর পরস্পরকে এ কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : ৮৮)।

চিরস্থায়ী : এ কিতাব স্থায়ীত্বের গুণে গুণান্বিত। কোনো জাতি-গোষ্ঠীর জন্য সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়নি। কারণ, এর সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহতায়ালা নিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি কোরআন নাজিল করেছি, আর অবশ্যই আমি এর সংরক্ষক।’ (সুরা হিজর : ৯)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই এ কোরআন হলো এক মহাশক্তিশালী গ্রন্থ। কোনো প্রকার মিথ্যা এর সামনে বা পেছনে প্রবেশ করতে পারে না।’ (সুরা ফুসসিলাত : ৪১-৪২)।

ব্যাপকার্থবোধক : কোরআন বক্তব্যের মধ্যে সকল যুগের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এ কোরআন হচ্ছে বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশ সংবলিত গ্রন্থ।’ (সুরা তাকভির : ২৭)। আল্লাহ তাঁর রাসুল (সা.)-কে সম্বোধন করে অন্য আয়াতে বলেন, ‘আমি আপনার প্রতি এ কিতাব নাজিল করেছি; যাতে রয়েছে প্রতিটি মানুষের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। এ ছাড়া রয়েছে সত্যের পথ নির্দেশনা, রহমত এবং আত্মসমর্পণকারীদের জন্য সুসংবাদ।’ (সুরা নাহল : ৮৯)।

লেখক : কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক, বাংলাদেশ কওমি ছাত্র পরিষদ

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত