ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

সাবেক সহকারী মুফতি, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম (গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা) টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

প্রশ্ন : অনেক সময় মসজিদে কিছু মুসল্লি ভাইকে দেখা যায়, তারা এমন খাটো শার্ট-প্যান্ট বা গেঞ্জি-ট্রাউজার পরে নামাজ পড়তে আসে যে, রুকুণ্ডসেজদায় গেলে পেছনের দিকে নিম্নাংশের কাপড় সরে গিয়ে শরীর দেখা যায়। এমন কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়ার হুকুম কী? এতে পেছনের মুসল্লিদের নামাজের কোনো সমস্যা হবে?

উত্তর : যে কাপড় পরলে সতর খুলে যায়, এমন পোশাক ব্যবহার করা জায়েজ নয়। এ ধরনের পোশাকে নামাজ আদায় করাও নাজায়েজ। আর নামাজে যদি সতরের কোনো অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ খুলে যায় এবং তা এক রোকন (অর্থাৎ তিন তাসবিহ) পরিমাণ সময় খোলা থাকে, তাহলে সে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ ধরনের পোশাক পরা থেকে (বিশেষত নামাজের সময়) বিরত থাকা আবশ্যক। (খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/৭৩, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৪০৮, ফতোওয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/৫৮)।

প্রশ্ন : বড়দের জামাতে কাতারের ফাঁকে ছোট বাচ্চারা দাঁড়ালে বড়দের নামাজের কোনো ক্ষতি হবে? যদি ক্ষতি হয়, তবে বাচ্চারা কোথায় দাঁড়াবে? বিশেষ করে, যখন বড় কোনো জামাতে বাচ্চাদের অভিভাবকের সঙ্গেই দাঁড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন কী করবে?

উত্তর : নামাজের জ্ঞান রাখে, এমন নাবালেগ ছেলেকে বড়দের সঙ্গে দাঁড় করানো মাকরুহ নয়। এতে বড়দের নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না; বরং কোনো কোনো ফকিহ বলেছেন, ছোট বাচ্চারা বড়দের কাতারের পেছনে দাঁড়ালে যদি তাদের দুষ্টুমি করার আশঙ্কা থাকে, সে ক্ষেত্রে তাদের বড়দের সঙ্গে কিংবা বড়দের ফাঁকে ফাঁকে দাঁড় করানোই শ্রেয়। তবে সাধারণ নিয়ম হলো, বাচ্চাদের পেছনের কাতারে দাঁড় করানো ভালো।

উল্লেখ্য, নামাজের জ্ঞান নেই বা অন্যের নামাজে বিঘ্ন ঘটানোর আশঙ্কা রয়েছে, এমন নাবালেগ বাচ্চাকে মসজিদে না আনা উচিত। (মুসলিম ১/১৮১, তিরমিজি : ১/৫৩, আল বাহরুর রায়েক : ১/৩৫৩, বাদায়েউস সানায়ে : ১/৩৯২, ইলাউস সুনান : ১/২৬৪, তোহফাতুল মুহতাজ : ৩/১০৬-১০৭)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত