আল্লাহতায়ালা মানুষকে বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, বালা-মসিবতের মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন। এসব পরীক্ষায় মোমিন সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। দুর্বল ঈমানদার এসব দুঃখ-কষ্ট ধৈর্যের মাধ্যমে মোকাবিলা না করে তার ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব মনে করে। এর জন্য আল্লাহকে দায়ী করে। খারাপ সময়ে ধৈর্যের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। তখনই আল্লাহতায়ালা সাহায্য করবেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মোমিনরা! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা : ১৫৩)।
ধৈর্যের প্রতিদান জান্নাত : যারা বিপদাপদে আল্লাহর ওপর ভরসা করে ধৈর্য ধারণ করবে, তাদের জন্য আল্লাহতায়ালা মহাপুরস্কার রেখেছেন। দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের সম্মানিত করবেন। আখেরাতে শান্তির ঠিকানা জান্নাতের মাধ্যমে পুরস্কৃত করবেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ধৈর্যের প্রতিদান জান্নাত।’ (উমদাতুল কারি : ১০/৩৮৩)।
ধৈর্য সাফল্যের চাবিকাঠি : বিপদকে ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে মোকাবিলা করলে আল্লাহ ওই কাজে সফলতা দান করেন। ধৈর্যহারা হলে সফল হওয়া যায় না। এ জন্য বিপদাপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহতায়ালা তাকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দেন। ধৈর্যের চেয়ে উত্তম ও প্রশস্ত আর কিছু কাউকে দেওয়া হয়নি।’ (বোখারি : ৫৮১৯)।
ধৈর্যশীলদের পুরস্কার অপরিমিত : যারা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে নিজের ওপর আপতিত বিপদে ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাদের অপরিমিত প্রতিদান দান করেন। তিনি বলেন, ‘ধৈর্যশীলদের তো অপরিমিত বিনিময় পুরোপুরিভাবেই দেওয়া হবে।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৪৬)।