ঈমান ভঙ্গের কারণ

মুফতি তারিক জামিল

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

১. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শিরক করা ক্ষমা করবেন না।’ (সুরা নিসা : ১১৬)।

২. নিজের ও আল্লাহর মাঝে মধ্যস্থতাকারী বানানে : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে নবী! আপনি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবেন না। সেগুলো আপনার উপকার কিংবা ক্ষতি কিছুই করতে পারে না। আর যদি আপনি সেটা করেন, তাহলে জালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন।’ (সুরা ইউনুস : ১০৬)।

৩. আল্লাহর সঙ্গে শিরককারীকে কাফের না বলা : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে তাগুত অস্বীকার করে আল্লাহর ওপর ঈমান আনবে, সে এমন মজবুত রজ্জু ধরে আছে, যা ভাঙার নয়।’ (সুরা বাকারা : ২৫৬)।

৪. বিচারে রাসুল (সা.)-এর ওপর অন্যকে প্রাধান্য দেয়া : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনার রবের কসম, যতক্ষণ না তারা আপনাকে তাদের বিবাদের বিচারক না মানবে এবং আপনার ফয়সালা নিয়ে তাদের মনে কোনো সংশয় থাকবে ও পরিপূর্ণ মেনে নেবে, ততক্ষণ তারা মোমিন হতে পারবে না।’ (সুরা নিসা : ৬৫৫)।

৫. ধর্মের কোনো কিছু অপছন্দ করা : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যখন তারা ঈমানদারদের সঙ্গে থাকে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আর যখন তাদের প্রভুদের সঙ্গে মেলে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি; তাদের সঙ্গে উপহাস করি।’ (সুরা বাকারা : ১৪৪)।

৬. ধর্মের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে নবী! আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে ঠাট্টা করছো! তোমরা আর ওজর পেশ কোরো না। তোমরা তোমাদের ঈমানের পর কুফরি করেছ।’ (সুরা তওবা : ৬৫-৬৬)।

৭. জাদু-টোনা করা : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘সুলাইমান (নবী) কুফরি করেনি, বরং কুফরি করেছে শয়তান। মানুষকে জাদু শিখিয়েছে।’ (সুরা বাকারা : ১০২)।

৮. মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সাহায্য করা : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! ইহুদি-খ্রিষ্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কোরো না।’ (সুরা মায়েদা : ৫১)।

৯. ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় জালেম কে হতে পারে, যাকে তার রবের আয়াত পড়ে শোনানো হয়, আর সে মুখ ফিরিয়ে নেয়।’ (সুরা সাজদা : ২২)।

১০. ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম গ্রহণ করাকে বৈধ ভাবা : আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মকে দ্বীন হিসেবে পেতে চায়, তা কখনোই কবুল করা হবে না।’ (সুরা আলে ইমরান : ৮৫)।