প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তির ওপর গোসল ফরজ হয়েছে। এখন সে শুধু অজু করে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত বা স্পর্শ করতে পারবে?
উত্তর : না, গোসল ফরজ হয়েছে, এমন কারও জন্য গোসল করে পবিত্র না হয়ে কোরআন শরিফ স্পর্শ করা বা তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৭৩)।
প্রশ্ন : গোশতের ব্যাগ ভিজে কিছু রক্ত কাপড়ে লেগে গেছে। ওই কাপড়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে?
উত্তর : প্রবাহিত রক্ত বের হওয়ার পর গোশতের সঙ্গে লেগে থাকা রক্ত নাপাক নয়। তাই প্রশ্নোক্ত কাপড় নাপাক হয়নি। ওই কাপড়ে আদায়কৃত নামাজ সহিহ হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/১০১)।
প্রশ্ন : সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা হওয়ার পর যে ঋতুস্রাব বের হয়, তা কি নেফাসের রক্ত হিসেবে গণ্য?
উত্তর : সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হওয়ার পর জরায়ু থেকে রক্ত বেরুলে তা নেফাস বলে গণ্য হবে। (তাবঈনুল হাকায়েক : ১/১৮৮)।
প্রশ্ন : নামাজের জন্য অজু করার পর মাথা মুণ্ডালে পুনরায় মাথা মাসেহ করতে হবে?
উত্তর : না। (আল মুহিতুল বোরহানি : ১/৩৩)।
প্রশ্ন : খরগোশের গোশত খাওয়া যাবে?
উত্তর : খরগোশের গোশত হালাল। খেতে সমস্যা নেই। (তিরমিজি : ১৭৮৯, ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৮/২৪২)।
প্রশ্ন : কোনো হিন্দু লোক সালাম দিলে তার জবাব দেয়া যাবে?
উত্তর : হ্যাঁ, যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু ‘ওয়া আলাইকা’ বলতে হবে। (বোখারি : ৬২৫৭, ফতোয়ায়ে কাজিখান : ৩/৩০৭)।
প্রশ্ন : শাশুড়ির মৃত্যুর পর শ্বশুর দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এখন এই সৎ শাশুড়ির সঙ্গে পর্দা রক্ষা করতে হবে?
উত্তর : হ্যাঁ, সৎ শাশুড়ির সঙ্গে পর্দা করা জরুরি। (মাজমাউল আনহুর : ১/৪৮০)।
প্রশ্ন : ছেলে-মেয়ে এক হয়ে শুধু আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে কি বিয়ে হয়ে যাবে?
উত্তর : না, হবে না। বরং বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য সাক্ষী হিসেবে কমপক্ষে দু’জন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দু’জন নারীর উপস্থিতি জরুরি। তাদের শুনিয়ে ইজাব-কবুল করা ছাড়া বিয়ে হয় না। (খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ২/১৫)।
প্রশ্ন : একটি মেয়ে শৈশবে তার দাদির দুধ পান করেছে। বড় হওয়ার পর তার ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা চলছে। তাদের বিয়ে শুদ্ধ হবে?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত ছেলেটি মেয়েটির দুধবোনের ছেলে। তাই উভয়ের মধ্যে বিয়ে শুদ্ধ হবে না। (সুরা নিসা : ২৩, তিরমিজি : ১১৪৬, আদ্দুররুল মুখতার : ৩/২১৭)।
প্রশ্ন : বিয়েতে কনের কাছ থেকে ইজন (অনুমতি) নেয়ার সময় সাক্ষী রাখা কি জরুরি?
উত্তর : না, ইজন নেয়ার সময় সাক্ষী রাখা আবশ্যক নয়। তবে কনের মাহরামদের মধ্যে কেউ সাক্ষী থাকা ভালো। (আল বাহরুর রায়েক : ৩/১৫৮)।