বই : নবিজির কান্না
লেখক : ইলিয়াস মশহুদ
প্রকাশক : কালান্তর প্রকাশনী
পৃষ্ঠা : ১৬০
মূল্য : ২৬০
ফোন : ০১৭২২ ৬৭৩ ৩৭১
পৃথিবীর সব মানুষের প্রথম ভাষা কান্না। এজন্য কান্নাকে পৃথিবীর প্রথম ভাষা বলা যায়। কান্নার ভাষা সর্বজনীন। সব ভাষার মানুষ কাঁদে। কান্নার ভাষা সব ভাষাভাষী বোঝে। একজন নবজাতকও নিজের অস্তিত্ব জানান দেয় কান্নার মাধ্যমে। এটা তার সুস্থতার প্রকাশও। কান্না মানবজীবনের অতি সাধারণ ঘটনা। মানুষ সুখে কাঁদে, শোকে কাঁদে, দুঃখে কাঁদে, ব্যথায়ও কাঁদে। কেন এই কান্না? এর কোনো উপকারিতা আছে? বাস্তবতা হলো, মানুষই একমাত্র জাতি, যারা কান্নার সময় শব্দের সঙ্গে সঙ্গে অঝোরধারায় অশ্রুও ঝরায়। এছাড়া কান্নার অনেক ধরন আছে। যেমন- ভয়ের কান্না, প্রেমের কান্না, বিরহের কান্না, আবেগের কান্না, খুশিতে কান্না, অসহায়ত্বের কান্না, শোক ও বিষণ্ণতার কান্না ইত্যাদি। হাসি-কান্না মনুষ্যত্ব প্রকাশের এক দারুণ শিল্প। আনন্দ-দুঃখ প্রকাশে এর চেয়ে সুন্দর অবলম্বন নেই। অনুভব-অনুভূতির মতো প্রতিটি মানুষের সত্তায়ই হাসি-কান্না জড়ানো। এটাকে কেউ চাইলেও গোপন করতে পারে না। গোপন রাখতে পারেননি নবুয়তের মতো গুরুদায়িত্ব কাঁধে নবিজিও। কারণ, নবী হলেও তিনি মানুষ ছিলেন আমাদের মতো। সংগত কারণে তার জীবনেও হাসি-কান্নার উপকরণ-উপাদান ছিল। ফলে তিনিও হাসতেন, কাঁদতেন। তবে তার হাসি-কান্না অকারণ এবং অশৈল্পিক ছিল না। তার হাঁটাচলা এবং বলা-কওয়ার মতো আনন্দ-বেদনা প্রকাশের শৈলীতেও রয়েছে উম্মতের জন্য শিক্ষাদীক্ষা। এ গ্রন্থে হাদিসের ধারাভাষ্যে জানা যাবে নবীজি কীভাবে কাঁদতেন, পরিবারের সদস্যসহ সাহাবিদের কান্না দেখে তার প্রতিক্রিয়া কেমন হতো, কীভাবে তাদের সান্ত¡না দিতেন ইত্যাদি। জীবনের বাঁকে বাঁকে, ঘরে-বাইরে, মজলিসে বা একাকী নবীজির সেসব কান্নায় কী শিক্ষা ও সবক রয়েছে, লেখক তা সরল ভাষায় তুলে ধরেছেন। কেবল ঘটনার শৈল্পিক চিত্রাঙ্কন কিংবা হাদিসের অনুবাদণ্ডভাবানুবাদে ক্ষ্যান্ত নয়; বয়ান করা হয়েছে প্রাসঙ্গিক মাসআলা-মাসাইলও। ফলে আখেরে গ্রন্থটি হয়ে উঠেছে বিষয়ভিত্তিক হাদিসের অনবদ্য সংকলন; একইসঙ্গে ধর্মীয় গল্পের সমাহার।