মহিমান্বিত রমজানের পরেই এলো শাওয়াল মাস। আরবি বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে দশম মাস হলো শাওয়াল। শাওয়াল হজের মাসসমূহের অন্তর্ভুক্ত একটি মাস। শাওয়াল মূলত আরবি শব্দ; যার আভিধানিক অর্থ উঁচু, উন্নত বা ভারী হওয়া, গৌরব করা, বিজয়ী হওয়া ইত্যাদি। প্রতিটি অর্থের সঙ্গে শাওয়ালের সুগভীর সম্পর্ক আছে। কারণ, এ মাসের আমলের দ্বারা উন্নতি লাভ হয়; নেকির পাল্লা ভারী হয়, গৌরব অর্জন হয়, সাফল্য আসে। এক মাস ফরজ রোজা আদায় শেষে এ মাসে আরও কয়েকটি নফল রোজা আদায়ের প্রতি মনোনিবেশ করে আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি অর্জন করা, আত্মিক ও মানবিক উৎকর্ষ সাধনে পরিপক্বতা ও স্থিতি লাভ করা শাওয়াল মাসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য।
যেভাবে রাখতে হবে ছয় রোজা : শাওয়াল মাসের যে কোনো সময় ধারাবাহিকভাবে বা বিরতি দিয়ে এ রোজা আদায় করা যায়। লক্ষ্যণীয়, রমজানের রোজা ছাড়া অন্য সব রোজার নিয়ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে হয়। রমজানের ছুটে যাওয়া রোজা কাজা করার আগেও নফল রোজা রাখা যায়। তবে সম্ভব হলে ফরজ রোজার কাজা আগে আদায় করা উত্তম। (ফাতহুল কাদির : ২/৩১১, ফতোয়ায়ে ইসলামিয়া : ২/১৬৬)।
ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেঁচে থাকা : এক. শাওয়ালের ছয় রোজাকে অনেকে সাক্ষী রোজা নামে অভিহিত করেন। এটা শরিয়তস্বীকৃত নাম নয়। কোরআন-হাদিসের কোথাও এ নামের উপস্থিতি পাওয়া যায় না। অতএব, এভাবে ছয় রোজার নামকরণ বর্জন করা অত্যাবশ্যকীয়। দুই. অনেকে এ ছয় রোজাকে নারীদের জন্য বিশেষ মনে করেন। এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। এ রোজা স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) রেখেছেন এবং উম্মতকে রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এর প্রতিদান আল্লাহতায়ালা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সমানভাবে নির্ধারণ করেছেন।