দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও আটজন মশাবাহী এই রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে রোগটিতে মোট ২১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এই সময়ে ডেঙ্গুতে নতুন করে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ফলে এখন পর্যন্ত নতুন বছরের প্রথম ছয় দিনে ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু হয়নি। এছাড়া গত ছয় দিনের মধ্যেই আজই কম রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রথম পাঁচ দিনে গড়ে ৪০ জন করে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শুক্রবার একই সময়ের মধ্যে সারা দেশে নতুন করে আরও আটজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে তিনজন ঢাকায় এবং পাঁচজন ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ২১২ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৯৯ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ১১৩ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত ২১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এই সময়ে ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠা তিনজন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও সরকারি হিসেবে সংখ্যাটি দেড় শতাধিকের কিছু বেশি। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ এ সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ এ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন। আর বিদায়ী বছরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৮১ জন।