ডা. এসএ মালেককে স্মরণ করল বুদ্ধিজীবীরা
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এসএ মালেককে স্মরণ করল দেশের বুদ্ধিজীবীরা।
গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মুজাফ্ফর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এর সঞ্চালনায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, লেখক ও কলামিস্ট স্বদেশ রায়, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, সুপ্রিমকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য নাহিদ নূর আলো, সহ-প্রচার সম্পাদক এইচ এম মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নজরুল ইসলাম, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত ইসলাম ভূঁঞা, পরিবেশ ও বন সম্পাদক নেছার আহাম্মদ ভূঁঞা, যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রবীণ সদস্য এড. দিদার আলী প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ডা. এসএ মালেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার জীবনের সবচেয়ে বড় স্মরণীয় ঘটনা হচ্ছে ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি সব সময় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ডা. এস এ মালেকের অভাব কোনো দিনই পূরণ হবার নয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে ৭৫-পরবর্তী তার ভূমিকা স্মরণ করার মতো। স্বৈরশাসনের হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি পার্লামেন্টারি সরকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করেছিলেন। সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতেন।
সাংবাদিক স্বদেশ রায় বলেন, ডা. এস এ মালেক অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ করতেন এবং বিশ্ব সভায় এই গণহত্যার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জনমত গড়ে তুলতেন। তিনি সিভিল সোসাইটি ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ডা. এসএ মালেক ছিলেন মৃত্যুহীন প্রাণ। ৩৮ বছর আগে তার সাথে পরিচয়, তাকে অনুসরণ করলে বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ রাখা যাবে। মনেপ্রাণে ধারণ করতে পারলে অনেকদূর এগিয়ে যাওয়া যাবে।
এএম আমিনউদ্দিন বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে জনমত গড়ে তোলেন এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছেন। মরহুম ডা. এসএ মালেকের ছোট মেয়ে আর্কিটেক্ট অবণী মেহবুব বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ডা. এসএ মালেক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাসীন করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সভাশেষে ডা. এসএ মালেকের বিদেহি আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের খতিব এমদাদ উদ্দিন।