বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি
আদালতের ঘটনায় বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে কতিপয় আইনজীবীর বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপের ঘটনায় বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ সমমনা কয়েকটি সংগঠনের বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২ জানুয়ারি কতিপয় আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ ও বিচারকের সঙ্গে যে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করেছে তা অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানিয়েছেন। যেন ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
এছাড়াও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, এগারোতম, দ্বাদশ জুডিশিয়াল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ত্রয়োদশ বিজেএস জাজেস ফোরামের কর্মকর্তারা ওই ঘটনার নিন্দা ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টকে অভিযোগ করা হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে রেজিস্ট্রার জেনারেল বিচারকের অভিযোগটি বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রেরণ করেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তাদের ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত ৫ জানুয়ারি বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এসব আদেশ দেন।