প্রকাশনা অনুষ্ঠানে হোসেন জিল্লুর রহমান
মানুষ করোনার দুর্দশা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোভিডের কারণে মানুষ যে দুর্দশায় পড়েছিল মানুষ এখনো সে অবস্থা থেকে উঠে আসতে পারেনি। ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এ চিত্র এবারের শীতে ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। গতকাল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিষয়ক বই ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’র চতুর্থ সংস্করণের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্যাংকিং অ্যালমানাক গ্রন্থের এডিটোরাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। বড় বড় অর্থনীতি সংকটের মধ্যে আছে। তুলনামূলক ছোট্ট অর্থনীতির দেশ হিসেবে আমরা বৈশ্বিক বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি আমরা বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়াই পরিস্থিতি সামাল দেবো। হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, অর্থনীতি নিয়ে দেয়া বক্তব্যে সঠিক চিত্র উঠে আসছে না। এ জন্য সব আলোচনার আগে রিয়েল শব্দটি যোগ করার প্রয়োজন। ব্যাংকিংয়ের কথা বলি, প্রবৃদ্ধির কথা বলি, দারিদ্র্যের কথা বলে-প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন রিয়েল শব্দটি যোগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি ফুটপাতে ছিন্নমূল মানুষের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এটা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে দারিদ্র্যের সংখ্যা বেড়েছে, প্রকৃত অবস্থা কি! এর মধ্যে অর্থনৈতিক অনেক বিষয় চলে আসে। হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সঠিক তথ্য অর্থনৈতিক সুশাসনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নীতি তৈরিকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। ব্যাংকের আমানত ও ঋণ বিতরণে ৬ ও ৯ নিয়ে যা হচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতি নিয়ে যত কাজ হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে কথা। ব্যাংকিং খাত নিয়ে যা কিছু করণীয় তা দ্রুত ও দৃশ্যমান হওয়া প্রয়োজন। সাবেক এ গভর্নর আর্থিক খাত নিয়ে গৃহীত যে কোনো কর্মকাণ্ডকে প্রকাশ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সব কিছু প্রকাশ্যে আনলে কিছুটা আলোচনা-সমালোচনা হলেও তার বিপদ কেটে যাবে। আর গোপন রাখলে তা আরও সমস্যা বাড়াবে।