ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস পালনের দাবি জানালেন ডা. জাফরুল্লাহ

৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস পালনের দাবি জানালেন ডা. জাফরুল্লাহ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশের ফেলানীর হত্যা দিবস ৭ জানুয়ারিকে জাতীয়ভাবে ফেলানী দিবস পালন ও ভারতীয় দূতাবাসের সড়কের নাম ‘ফেলানী সড়ক’ নামকরণের দাবি জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির প্রধান এই উপদেষ্টা বলেন, কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। এই ছবি শুধু ফেলানীর লাশের ছবি নয়, এই ছবি কাঁটাতারে বিদ্ধ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। এই ছবি বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিকদের ভারত তোষণনীতির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার।

কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ী সীমান্তে বিনা উস্কানিতে বিএসএফ বাবার সামনে শিশু কন্যা ফেলানীকে হত্যাসহ সারা বছর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের হাতে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যার উদ্বেগ জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এই ঘটনা ভারতের আগ্রাসী চরিত্র। ভারতকে সীমান্ত আগ্রাসন, বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও ডা. শফিকুর রহমানকে মুক্তি দিতে হবে। ‘৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবসে’ সীমান্ত আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জহুরা খাতুন জুইঁ। বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, জাগপা মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক রাসেদ খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত