ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন

অসচ্ছলদের ‘শিক্ষা ঋণ’ দেয়ার সুপারিশ

অসচ্ছলদের ‘শিক্ষা ঋণ’ দেয়ার সুপারিশ

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক ঋণ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পড়ালেখা শেষ করে কর্মজীবনে যাওয়ার পর এ ঋণ পরিশোধ করার কথা বলা হয়েছে সুপারিশে। ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ইউজিসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউজিসি’র সুপারিশে বলা হয়েছে, উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ঋণ রয়েছে। পরবর্তীতে কর্মজীবনে প্রবেশের পর বা অন্য কোনোভাবে সেই ঋণ পরিশোধ করার বিধান রয়েছে। বাংলাদেশেও উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে এনডাউমেন্ট (প্রদত্ত তহবিল) গঠন করে শিক্ষা ঋণ কর্মসূচি চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইউজিসি’র সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, দরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা নিয়মিত চালিয়ে নিতে অনেক দেশে শিক্ষা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। সেটি আমাদের দেশেও চালুর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, এবার ভালো কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। উচ্চশিক্ষা খাতে চলমান ও স্থায়ী সংকট সমাধানে ১৭টি সুপারিশ করা হয়েছে।

ইউজিসি’র সুপারিশে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সান্ধ্যকালীন, উইকেন্ড এক্সিকিউটিভ প্রভৃতি নামে প্রোগ্রাম ও কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ ধরনের কোর্স পরিচালনা করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীর স্বার্থের পরিপন্থী। এসব কোর্স বন্ধ হওয়া জরুরি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী ইউসিসি’র অনুমোদনক্রমে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ডিপ্লোমা, শর্ট কোর্স, ভোকেশনাল ও ট্রেনিং পরিচালনা করা যেতে পারে।

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে প্রায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। ফলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। নিয়োগে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং যোগ্য জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে একটি স্বতন্ত্র নিয়োগ কমিশন গঠন করা যেতে পারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের জন্য ইউজিসি প্রণীত নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নীতিমালা বাস্তবায়নে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন পদে কর্মরত অতিরিক্ত দায়িত্ব, বিধিবদ্ধ পর্ষদ ও কমিটির সম্মানী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত পারিশ্রমিকের তারতম্য রয়েছে। ফলে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জটিলতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি ‘অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও আর্থিক ম্যানুয়াল’ প্রণয়নের জন্য সরকার ও কমিশন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত