ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে বিএনপির নয় দিনের কর্মসূচি

জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে বিএনপির নয় দিনের কর্মসূচি

দলের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নয় দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। গতকাল শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের এক যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, জিয়ার জন্মবার্ষিকীর দিন ১৯ জানুয়ারি সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে তার কবরে ফুল দেবে বিএনপি। এদিন বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হবে আলোচনা সভা। তার আগে ১৭ জানুয়ারি মহিলা দল, ২১ জানুয়ারি শ্রমিক দল, ২২ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা দল, ২৩ জানুয়ারি কৃষক দল, ২৪ জানুয়ারি যুবদল, ২৬ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবক দল আলোচনা সভা করবে।

১৮ জানুয়ারি ছাত্রদল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং উলামা দলের মিলাদ মাহফিল, ১৯ জানুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ রাজধানীতে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং ২০ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকই শুধু নন, তিনি এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একজন নেতা। সেজন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে তার এই জন্মদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্যে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যে নেতা আমাদেরকে পথ দেখিয়েছিলেন, আসুন তাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। আসুন একটা মুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের একটা নিরাপদ আবাসস্থল নির্মাণের জন্য, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য আমরা এইদিনটি মর্যাদার সাথে পালন করি।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমরা করেছিলাম যে চেতনার কথা থেকে, সেই কথাকে তারা বেমালুম গিলে ফেলেছে, ধবংস করে দিয়েছে। সেই চেতনা ছিল একটা মুক্ত সমাজ, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেই লক্ষ্যে আমরা সংগ্রাম করছি। এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে।

এরইমধ্যে আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী শাহাদাতবরণ করেছেন পুলিশের গুলিতে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে নির্যাতনে। গত ১৫ বছরে আমাদের প্রায় ৬০০-র অধিক নেতা গুম হয়ে গেছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন, ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। প্রায় এক হাজারের উপরে নেতাকর্মী এখনো বন্দি বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছে। এই কর্মসূচি পালনের জন্য গোটা জাতি আজকে নেমে পড়েছে। এই ১০ দফার মাধ্যমে আমরা সত্যিকার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যৌথ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, কাজী রফিক, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপি আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত