ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এক বছরে ঢাকায় বাইকের রেজিস্ট্রেশন বেড়েছে ২১ শতাংশ

এক বছরে ঢাকায় বাইকের রেজিস্ট্রেশন বেড়েছে ২১ শতাংশ

২০২২ সালে ঢাকায় মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ২১ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছরের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ২১ হাজার ৩৮টি বেড়েছে, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। করোনা মহামারিতে চাকরি হারিয়ে ও ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় অনেকে বাইক রাইড বা ফুড ডেলিভারিতে সম্পৃক্ত হওয়ায় বাইকের রেজিস্ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে করোনাকালীন চাকরি হারান বহু মানুষ। এছাড়া অনেকের ব্যবসাবন্ধ হয়ে যায়। উপায় না পেয়ে সংসার চালাতে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে অনেকে রাইড শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারির মতো প্ল্যাটফর্মকে বেছে নেন। সড়কে বাইকের চাপ বাড়ায় ট্রাফিক আইনের কড়াকড়ি আরোপ করায় বাইক রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যমতে, ২০১১ সালে ঢাকায় বাইক নিবন্ধন নেয় ৩৪ হাজার ৭০৭টি। এছাড়া ২০১২ সালে ৩২ হাজার ৮০৮টি, ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ৩৩০টি, ২০১৪ সালে ৩২ হাজার ৮৯১টি, ২০১৫ সালে ৪৬ হাজার ৭৫৮টি ও ২০১৬ সালে ৫৩ হাজার ৭১৮টি। ২০১৬ সালের রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পায়। ওই বছর নিবন্ধন নেয়া বাইকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫ হাজার ২৫১টি। ২০১৮ সালে তা লাখ ছাড়িয়ে যায়। সে বছর নিবন্ধন নেয় এক লাখ ৪ হাজার ৫১টি বাইক। তবে পরের তিন বছর বাইকের রেজিস্ট্রেশন আবারও লাখের নিচে নেমে আসে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ঢাকায় বাইক নিবন্ধন নেয় ৯৯ হাজার ২৫২টি, ২০২০ সালে ৭৮ হাজার ৫৫১টি এবং ২০২১ সালে ৯৯ হাজার ৮১০টি। আর ২০২২ সালে ঢাকায় এক লাখ ২০ হাজার ৮৪৮টি বাইক নিবন্ধন নিয়েছে। সে হিসাবে গত বছর ঢাকায় বাইক নিবন্ধন বেড়েছে ২১ হাজার ৩৮টি বা ২১ শতাংশের বেশি। যদিও বাইক আমদানিকারক ও দেশি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, আগের তুলনায় গত বছর বাইক বিক্রি কম হয়েছে। বিশেষ করে শেষ চার মাসে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) বাইক বিক্রি বেশ কিছুটা কমেছে। তবে সব মিলিয়ে ২০২২ সালে করোনাকালীন চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে বাইক রাইডার বা ফুড ডেলিভারিতে অনেকের যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। অন্যদিকে করোনাকালীন থেকে যাতায়াতের জন্য গণপরিবহণ ব্যবহার না করে অনেকেই বাইক ব্যবহারে ঝুঁকেছেন। আর শহরের পাশাপাশি দেশব্যাপী ট্রাফিক পুলিশ কড়াকড়ি হওয়ায় মানুষ এখন বাইক নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো বিষয়গুলোয় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এসব কারণে গত বছর বাইক নিবন্ধন বেড়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যমতে, গত বছর রাজধানীসহ সারা দেশে বাইক রেজিস্ট্রেশন হয়েছে পাঁচ লাখ ৬ হাজার ৯১২টি। ২০২১ সালে রেজিস্ট্রেশন করা হয় তিন লাখ ৭৫ হাজার ২৫২টি, ২০২০ সালে তিন লাখ ১১ হাজার ১৬টি, ২০১৯ সালে বাইক রেজিস্ট্রেশন করা হয় ৪ লাখ এক হাজার ৪৫২টি, ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৫টি বাইক। এছাড়া ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রেশন করা হয় ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৬টি, ২০১৬ সালে তিন লাখ ১৫ হাজার ৮৯টি, ২০১৫ সালে ২ লাখ ২৯ হাজার ১০টি, ২০১৪ সালে ৯০ হাজার ৪০১টি, ২০১৩ সালে ৮৫ হাজার ৩২১টি, ২০১২ সালে এক লাখ এক হাজার ৮০৫টি, আর ২০১১ সালে এক লাখ ১৬ হাজার ৫৪৩টি বাইকের রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত