ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইনকে ঘিরে গতকাল শনিবার বিকাল থেকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা বলছে, সাকরাইন উৎসবে কোনোভাবেই যেন পুরান ঢাকায় ফানুস না ওড়ে সেই জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর পুরান ঢাকা সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অগ্নি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। বিভিন্ন সময় এখানে লাগা ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সারাদেশ। সাকরাইনকে কেন্দ্র করে ফানুস ওড়ালে বা আতশবাজি ফোটালে পুরান ঢাকায় অগ্নি দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ফানুস না ওড়ানো ও আতশবাজি না ফোটানোর নির্দেশনা দিয়েছিল ডিএমপি। ডিএমপি সূত্রে আরও জানা গেছে, যদিও ডিএমপির নির্দেশনা অমান্য করে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ফানুস ওড়াবেন বা আতশবাজি ফোটানোর চেষ্টা করবেন। তারা যেন চেষ্টায় সফল হতে না পারে সেই লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। প্রথমত ফানুস ওড়ানো বন্ধ করার লক্ষ্যে পুরান ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় গত কয়েক দিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএমপির লালবাগ বিভাগ। এই অভিযানে ফানুস বিক্রি বন্ধ করতে যেমন স্থানীয়দের সচেতন করা হয়েছে, তেমনি জব্দ করা হয়েছে ফানুস ও আতশবাজি। জানা গেছে, পুরান ঢাকার প্রতিটি মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে যেন সাকরাইন উপলক্ষ্যে ফানুস না ওড়ানো হয়, সেই সঙ্গে আতশবাজি না ফোটানোর অনুরোধও করা হয়েছে। এছাড়া পুরান ঢাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে সাকরাইন উপলক্ষ্যে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করতে। তারপরেও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন বলেন, সাকরাইন পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব।