ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শিক্ষককে পেটালেন আ.লীগ নেতা

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শিক্ষককে পেটালেন আ.লীগ নেতা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় নুরুন্নবী নামের এক প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে গিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে রৌমারী সিজি জামান উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। পেটানোর এই দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি টিভি ক্যামরায়। পর উপস্থিত লোকজন আহতাবস্থায় ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন রাত ৮টার দিকে ওই প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামানসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযাগ করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজসহ উপজেলা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। নির্যাতিত নুরুন্নবী উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অন্যদিক রোকনুজ্জামান রোকন সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটির উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। নির্যাতিত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী অভিযোগ করে বলেন, তার সঙ্গে বিদ্যালয়ের নিয়াগে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ও আসাদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রশিদসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যান তিনি। কাজ শেষে অফিসের দোতলা থেকে নেমে উপজেলা চত্বরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ও তার সঙ্গীয় লোকজন জোরপূর্বক তাকে (প্রধান শিক্ষক) তুলে নিয়ে প্রথম পলি বাস কাউন্টারে আটকে রাখেন। এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। পরে মোটরসাইকেলে করে ওই প্রধান শিক্ষককে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে নিয়ে যান। সেখান ওই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ঘটনা খুলে বলতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ক্ষিপ্ত হয়ে দুই হাত দিয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের গালে এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পর ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ার থেকে উঠে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে থামান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে উপস্থিত আহত ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষককে পেটানোর বিষয়টি স্বীকার করে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, নিয়াগ সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে ওই প্রধান শিক্ষক আমাকে দালাল বলেছেন। এ সময় আমি নিজেকে সংযত রাখতে না পেরে তাকে দুয়েকটা থাপ্পড় মেরেছি।

রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ওই প্রধান শিক্ষককে আমার অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। ওই প্রধান শিক্ষক কথা বলার সময় হঠাৎ তাকে (প্রধান শিক্ষক) চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারতে থাকেন রোকনুজ্জামান রোকন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত