২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানের অগ্রনায়কদের শুভেচ্ছা-সম্মাননা জ্ঞাপন করেছে ‘আমরা একাত্তর’ নেতৃবৃন্দ। অনাড়ম্বর অনানুষ্ঠানিক আয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অগ্রনায়কদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা পত্র তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়। যারা ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সমাধিতে অথবা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে এ সম্মাননা হস্তান্তর করা হয়। এ উপলক্ষে তৎকালিন পূর্ব বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও ডাকসু’র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রউফ, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মনিসিংহ ফরহাদ ট্রাস্টের বর্তমান সদস্য সামসুদ্দোহা এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারকে সম্মাননা জানানো হয়। আমরা একাত্তরের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল সরকার ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নিয়ামত আলী খোকন, মো. এনামুল আজিজ রুমি এবং সংগঠনের সদস্য ইবনুল আজিজ রসি ও আবু সায়েম ভূইয়া সবার বাড়ি যেয়ে এ সম্মাননা পত্র প্রদান করেন। ছয় দফা সংগ্রামের জননায়ক পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় তখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী হত্যার ষড়যন্ত্র করছিলো। সংগ্রামী ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছয় দফাকে অন্তর্ভুক্ত করে ১১ দফার ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালে ছাত্র গণঅভ্যুত্থান গড়ে তোলে। তার ফলশ্রুতিতে শাসকগোষ্ঠী মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় এবং বঙ্গবন্ধুকে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি স্মরণে দেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আমরা একাত্তর প্রতিবছর এ দিনটিতে আন্দোলনের অগ্রনায়কদের শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।