ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের আয়োজনে হযরত খাজা বাবা মঈনুদ্দিন চিশতী (র.) ওরছ শরিফ অনুষ্ঠিত

নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের আয়োজনে হযরত খাজা বাবা মঈনুদ্দিন চিশতী (র.) ওরছ শরিফ অনুষ্ঠিত

নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে গত ২৮ জানুয়ারি রাত্রে সুলতানুল হিন্দ গরিবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী আজমেরী সানজেরি (র.) এর পবিত্র ওরছ শরিফ উপলক্ষ্যে নলতা শরিফ শাহী জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদ এশা রাত ১১টা পর্যন্ত আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে পাক রওজা শরিফের খাদেম আলহাজ মো. আব্দুর রাজ্জাক। কেন্দ্রীয় মিশনের সহ-সভাপতি আলহাজ মো. সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মৌলভী খানজাহান আলী, হামদ্ নাতে রসুল মুর্শিদী পরিবেশন করেন মৌ. আব্দুল হাকিম, মো. রবিউল ইসলাম, কামরুজ্জামান ও আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানে পীর কেবলা (র.) এর লিখিত গ্রন্থ থেকে পাঠ করেন কেন্দ্রীয় মিশনের নির্বাহী সদস্য আলহাজ মো. আবুল ফজল। মাহফিলে বক্তব্য রাখেন হযরত মা. মো. রহমত আলী (আহ্ছানিয়া মিশন দ্বীনিয়া মাদ্রাসা), হাফেজ মো. হাবিবুর রহমান (কেন্দ্রীয় মিশন, হেফ্জখানা)। অনুষ্ঠানে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাচ্ছির আলহাজ মাও. মো. আবু সাঈদ (রংপুরী), খতিব নলতা শরিফ শাহী জামে মসজিদ। তিনি বলেন, আজ ৬ রজব খাজা বাবার ওরছ শরিফ পালিত হচ্ছে। এ মহাপুরুষকে সুলতানুল হিন্দ অর্থাৎ হিন্দুস্তানের সুলতান, গরিবে নেওয়াজ অর্থাৎ গরিবের বন্ধু, সর্বোপরি হাসান থেকে মঈনুদ্দিন অর্থাৎ ধর্মের সাহায্যকারী নাম রাখেন স্বয়ং মদিনাওয়ালা নবীজি (স.)। তিনি (খাজা বাবা (র.) হিজরি ৬৩২ সনে ওফাত হয়েছেন, যা ৮১২ বছর পূর্বে। তিনি বলেন, মুর্শিদ মাওলা খানবাহাদুর আহ্ছান উল্লা (র.) দর্শন শাস্ত্রে এমএ পাশ হলেও তার লেখা পড়লে বোঝা যায় তিনি ছিলেন একজন মুফতি আজম, তিনি আল্লাহ প্রদত্ত এলম প্রাপ্ত হন। খাজা বাবা আজমেরী (র.) ৭ বছর বয়সে কোরআন অর্থসহ হেফজ করেন। তিনি ৭ বছর বয়স থেকে নামাজ ধরে ৭০ বছর পর্যন্ত এশার অজুতে ফজরের নামাজ আদায় করেন। তার পীর ছিলেন হযরত ওসমান হারুনী (র.) তিনি খাজা বাবাকে সঙ্গে করে মক্কায় নিয়ে যান এবং খানায়ে কাবা তওয়াফকালে আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের কুদরতি হাতে তাঁকে (হাসানকে) সোপর্দ করেন। পরে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (র.) হিন্দুস্তানে ইসলাম প্রচারে আসেন, লাখ লাখ অ-মুসলিমকে ইসলাম ধর্মে দিক্ষীত করেন। তিনি হিন্দুস্তানে দ্বীন ইসলাম, নামাজ- রোজা, কোরআন- হাদিস চালু করেন। সভাপতির সমাপনী বক্তব্য রাখেন আলহাজ মো. আব্দুর রাজ্জাক। তাওয়াল্লাদ শরিফ, কেয়াম পাঠ করেন হাফেজ মো. হাবিবুর রহমান ও মো. শাহিন আলম। মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ মাওলানা মো. আবু সাঈদ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত