স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে বিটিসিএল কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
তিন বছর আগে রাজধানীর দক্ষিণখানে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) জুনিয়র সহকারী ম্যানেজার রাকিব উদ্দিন আহম্মেদকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও ৫ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দক্ষিণখানের ৮৩৮ নম্বর ‘প্রেম বাগান’ নামের ভবনের চতুর্থ তলার বাসা থেকে মুন্নী বেগম এবং তার দুই সন্তান ফারহান উদ্দিন ও লাইবা রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন সকাল থেকেই ওই ভবনের বাসিন্দারা পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়ত মৃত পশু-পাখি থেকে গন্ধ আসছে। কিন্তু, আশপাশে খুঁজেও সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি। তাই, সন্দেহ বাড়তে থাকে। এছাড়া, নিহত মুন্নীর ভগ্নিপতি সোহেল আহম্মেদ কয়েক দিন ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এতে সবার সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। ওই দিন সকালে সোহেল আহম্মেদ তাদের খুঁজতে আসেন দক্ষিণখানের ওই বাসায়। এসে ঘরের দরজা বন্ধ পান। পরে বাড়ির মালিকের সঙ্গে পরামর্শ করে চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। দেখতে পান, মুন্নী বেগম ও তার মেয়ে লাইবার লাশ একটি রুমের বিছানায় পড়ে আছে। অন্য কক্ষের মেঝেতে পড়ে আছে ফারহান উদ্দিনের লাশ। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে দক্ষিণখান থানা পুলিশ এসে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরের দিন নিহত মুন্নীর ভাই মুন্না রহমান দক্ষিণখান থানায় রাকিব উদ্দিন আহম্মেদকে আসামি করে মামলা করেন। ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাকিবকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিমানবন্দর জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মিজানুর রহমান। মামলার বিচার চলাকালে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।