ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যাত্রাবাড়িতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের

উপনির্বাচনে ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি

উপনির্বাচনে ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি

বিএনপি উপনির্বাচনে সব আসনেই ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনে কে জিতল, কে হারল সেটা মূল বিষয় না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। উপনির্বাচনে সব আসনেই ঘোমটা পরা প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপি কত বড় ভুল করেছে, যতই দিন যাবে ততই তারা অনুধাবন করতে পারবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তায় শহীদ শেখ রাসেল পার্কের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬টি উপ-নির্বাচনে আজকের (গতকালের) ভোট অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে আবারও গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। বিএনপির পদযাত্রায় সরকার শঙ্কিত কিংবা আতংকিত নয়। তাদের এ পদযাত্রার মাধ্যমেই তারা ধ্বংস হয়ে যাবে । বিএনপির রাজনীতি ঘোমটা পরা রাজনীতি। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভয় পায়নি, উল্টো বিএনপি নিজেরাই ভয় পেয়েছে। বিএনপি ষড়যন্ত্রমূলক সমাবেশ প্রতিরোধ নয়, সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে যাবে।

গণঅভ্যুত্থান, লাল কার্ড আর সরকার পতনের আন্দোলন থেকে বিএনপি কেন অন্তিম পদযাত্রায় প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভয় পায় না, ভয় পাচ্ছে বিএনপি। কর্মসূচি নরম হচ্ছে এবং ছোট হয়ে যাচ্ছে তাদের পৃথিবী। বিএনপির আন্দোলনের দৈর্ঘ্য কম, প্রস্থ বেড়ে যাচ্ছে। বিএনপির আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটার দিকে যাচ্ছে। ভুয়া জোটের মাধ্যমে গঠন করা বিএনপিও ভুয়া। তাদের জনগণ বিশ্বাস করে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশাহারা। মাত্র সূচনা করেছি আমরা, খেলা এখনো শুরু করিনি আমরা। বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সবই ভুয়া। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল লাল কার্ড দেখাতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরল। সরকার পতন, ৫৪ দল, ২৭ ও ১০ দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, সাতদিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যর্থ। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জনগণকে বারবার ধোঁকা দিয়েছে তাদেরকে আর জনগণ বিশ্বাস করে না। নির্বাচনকে বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। আগামী নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে একাত্তরের ঘাতকদের বিতাড়িত করবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য সরকার ও বিরোধী দল দুটি থাকবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির লক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করে ক্ষমতা দখল করা। তারা কখনোই জনগণের ভোটের সমর্থন আর পাবে না। তাই আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের খেলা ১০ই ডিসেম্বরের পরই শেষ হয়ে গেছে, এখন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নীরব পদযাত্রা শুরু করেছে, কিন্তু মানুষ তাদের সঙ্গে নেই, তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর ও দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, মিজবাউর রহমান ভূইয়া রতন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার ও গোলাম সরোয়ার কবির প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত