ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১ হাজার মোটরসাইকেল চুরি করেছে মেকানিক খালেক

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ
১ হাজার মোটরসাইকেল চুরি করেছে মেকানিক খালেক

গ্যারেজ মেকানিক মো. খালেক হাওলাদার ওরফে সাগর আহম্মেদ। গ্যারেজে কাজ করতে গিয়ে তার পরিচয় হয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সঙ্গে। পরে ওই পেশা ছেড়ে চুরি জগতে ডুকে পড়েন খালেক। গত ১৫ বছরে ১ হাজার মোটরসাইকেল ঢাকা থেকে চুরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছে সে। মোটরসাইকেল চোর চক্রের এই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগ। এ সময় তার কাছ থেকে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার খালেকের সঙ্গে আরও ৭ থেকে ৮ জনের দল রয়েছে। চোরাই মোটরসাইকেলগুলো- তারা চাঁদপুর, নোয়াখালী ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় নিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করতো। গতকাল বুধবার ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গত মাসে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি মামলা হয়। তদন্তকালে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থান করছে। এরপর চোরের অবস্থান শনাক্ত করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার খালেকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি গ্যারেজ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করি। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ১৫০টিরও বেশি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

মহানগর ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানী থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও হাওর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কম দামে বিক্রি করা হয়। এসব চোরাই মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকলেও কিনে নিচ্ছেন অনেকে। ‘আমরা বারবারই বলে যাচ্ছি, কাগজপত্র নেই এমন মোটরসাইকেল কেনা অবৈধ। চোরাই মোটরসাইকেল যার কাছে পাব, তাকেই চোর হিসেবে সাব্যস্ত করব। কারণ, চোরাই মাল কেনাও একটা অপরাধ। কেউ যদি কাগজপত্রবিহীন চোরাই মোটরসাইকেল কেনেন, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, কেউ একজন ডুপ্লিকেট চাবি বানাতে এলে দোকানি বাড়তি আরও একটি চাবি বানিয়ে তার কাছে রেখে দেন। তারা এই কাজটি নিয়মিত করছেন। চাবির মেকানিকও এই চক্রের সদস্য। যারা নকল চাবি বানান তাদের বিরুদ্ধেও ডিবির অভিযান চলছে। গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল চুরি হলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ থানায় ভুক্তভোগীকে জিডি করার পরামর্শ দিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, জিডির কপিটি নিয়ে ডিবি টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মোটরসাইকেল উদ্ধারে আমরা চেষ্টা করবো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত