নিত্য যানজটে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিদিন অফিস যাওয়ার সময় যানজটে পড়তে হয়। বাসা থেকে একটু সময় হাতে নিয়ে বের হয়েছিলাম। তবে আজও অফিসে ঢুকতে লেট! সড়কে যানজটে কতক্ষণ বসে থাকতে ভালো লাগে! আবার বাসায় ফেরার সময়ও যানজট পোহাতে হয়। জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে প্রতিদিনের এই যানজটে- কথাগুলো বলছিলেন, বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. হাসিবুল হাসিব। রাজধানীর পল্টনে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। উত্তরার বাসা থেকে সপ্তাহে ছয় দিন পল্টনের অফিসে যাতায়াত করেন তিনি। হাসিবুল হাসিব বলেন, অফিসে যাওয়া-আসায় এই যানজটে যে পরিমাণ সময় ও অ্যানার্জি নষ্ট হয়, তারপর বাসায় ফিরে যেন ক্লান্তি নেমে আসে। গেল কয়েক মাস আগে উত্তরায় যে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন তার থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু সামনে আবার বৃষ্টি-বাদলের দিন আসছে। তখন কী অবস্থা হয়, কে জানে! তিনি বলেন, সপ্তাহের শুক্রবার ছুটির দিন। শনিবার একটু আরামে অফিসে যাওয়া যায়, যানজট কম থাকে। বাকি পাঁচ দিন তো যানজটের কারণে পাগল হয় যেতে হয়। গতকাল বুধবারও অনেক যানজট ছিল। সকালে বাসে উঠেই বিমানবন্দরে যানজট। এখানে বাসগুলো অগোছালো হয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের তোলে। তাই যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর বনানীর যানজটে পড়েছি। এরপর ঠেলে ঠেলে মহাখালী। মহাখালী বাস স্টপের তীব্র যানজট থেকে বের হয় আবার সাতরাস্তা সিগন্যালে। সেখান থেকে মগবাজারের যানজট শান্তিনগর হয়ে কাকরাইল পর্যন্ত যেতে অস্থির হয়ে পড়েছি। এরপর বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই পল্টন মোড়ে অফিসে পৌঁছেছি। নগরীতে এত যানজট আর ভালো লাগে না- যোগ করেন এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহনের জটলা থাকতে দেখা গেছে। রাজধানীর উত্তরা থেকে বিমানবন্দর, খিলক্ষেত থেকে বনানী ফ্লাইওভার হয়ে বনানী, মহাখালী থেকে নাবিস্কো হয়ে সাতরাস্তা, মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার। বাংলামোটর থেকে শাহাবাগ, হেয়ার থেকে মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন-মতিঝিল এলাকায় যানবাহনের ভারি জটলা থাকতে দেখা গেছে। যাত্রী ও পথচারীরা বলেছেন, সড়কে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে।