জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার লিগ্যাল এইড) অধীনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলে ১৯ হাজার ৭৮৪ জনকে বিনামূল্যে আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
লিগ্যাল এইডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৭ জনকে সরকারি খরচায় আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ সময়ে আইনি সহায়তাকৃত মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৫২টি এবং নিষ্পত্তি হওয়া মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭০৬টি। প্রি ও পোস্ট কেইসে ৬৪ জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ও শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলে ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ১১৭ কোটি ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৭ টাকা। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ, দেশের সর্ব নিম্ন আদালত, শ্রম আাদালতে সরকারি খরচায় অসচ্ছল জনগোষ্ঠীকে লিগ্যাল এইড দেয়া হয়।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা ক্ষুদ্র জাতি সত্তা সম্প্রদায়ের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালায় এরই মধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অসচ্ছল, অসমর্থ বিচার প্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ি হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।