কানাডায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কানাডার টরন্টোয় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। গুরুতর আহত হয়েছেন বাংলাদেশের কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়। হাসপাতালে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ছেলের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে টরন্টোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ। কিছুদিন আগে ৭০ হাজার ডলার দিয়ে ছেলেকে বিএমডব্লিউ গাড়িটি কিনে দিয়েছিলেন তিনি। একাধিক সূত্র জানায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় অন্টারিও প্রদেশের দুন্দাস স্ট্রিটের পশ্চিম হাইওয়ের র‍্যাম্পে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্ত ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান সামনে যাত্রীর আসনে থাকা অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ। আহত অবস্থায় চালকের আসনে থাকা নিবিড়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এক টুইট বার্তায় অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানায়, টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর দুন্দাস স্ট্রিট ওয়েস্টে দুর্ঘটনার শিকার গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজনে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়। হতাহতরা ইন্টারন্যাশনার স্টুডেন্ট এবং তারা টরন্টোয় বসবাস করছিলেন।

কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, নিহত তিন শিক্ষার্থী হলেন শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিবিড় কুমার বিশ্বজিতের ছেলে। তবে কানাডার পুলিশ বা দেশটির গণমাধ্যমে হতাহত শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান এবং বাকি দুইজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে সেখানে একজন মারা যান।

টরন্টো পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। গাড়িটি র‍্যাম্পে দ্রুতগতিতে চালানো হচ্ছিল। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গাড়িটি দক্ষিণ দিকে যাওয়ার সময় র‍্যাম্প ছেড়ে একটি কংক্রিটের প্রাচীরের উপর দিয়ে খাদে পড়ে অন্য একটি কংক্রিটের সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়। আগুনে ভস্মীভূত হওয়ার আগে চার যাত্রীকে বের করতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

টরেন্টো ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে গাড়িতে লাগা আগুন নেভান তারা। এরপর ভেতরে আটকেপড়াদের উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ও আহতের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।