প্রতীকী অনশনে ডিইউজে
সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ বছর পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কোনো কূলকিনারা হয়নি। এর মধ্যে ৯৫ বার পেছানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ। এমন চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদিচ্ছার অভাব বলে মনে করছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। আর সময় ক্ষেপণ না করে অনতিবিলম্বে এই খুনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে এক প্রতীকী অনশন পালন করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা। সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পেরিয়ে গেছে। এই ১১ বছরে আমরা অন্তত এগারোশ অনুষ্ঠান করেছি সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে। কে বিচার করবে, কে তদন্ত করবে, কে রিপোর্ট দেবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট কাঠামো আজ পর্যন্ত আমরা পাইনি। আজকে ১১ বছর ধরে আন্দোলন হচ্ছে, কিন্তু কারও কিছু যায় আসে না।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শুধু সাগর-রুনি না, এ পর্যন্ত যত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের কোনোটির সুষ্ঠু তদন্ত কিংবা বিচার আমরা পাইনি। দুই একজন সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু তাদের সেই বিচারকে সুষ্ঠু বা সঠিক বলে এখন পর্যন্ত মনে করতে পারিনি।’ ওয়েজ বোর্ডের কার্যকারিতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘নবম ওয়েজ বোর্ড হয়েছে কিন্তু আমরা সেটির কার্যকরিতা দেখি না, কোনো বাস্তবায়ন দেখি না। অথচ ডিএফপি নামক একটি প্রতিষ্ঠান অনবরত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। তারা অনবরতভাবে যে পত্রিকার সার্কুলেশন নাই সে পত্রিকাগুলোকে বায়বীয় সার্কুলেশন দিয়ে যাচ্ছে।’ পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সোহেল বলেন, ‘আমরা আজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেব। এ স্মারকলিপিতে যে ক’টি কথা বলেছি তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হয় তাহলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদেরকে অবহিত করা হবে। পরবর্তী কর্মসূচিতে আমরা হয়তো আরও দীর্ঘ সময় অনশনে যেতে পারি বা আমরণ অনশনে যেতে পারি। প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হতে পারি এবং চূড়ান্ত কর্মসূচি তৈরি করে হয়তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রেরণ করতে পারি।’ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিনসহ অনেকে।