ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য ২৬ ফেব্রুয়ারি

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য ২৬ ফেব্রুয়ারি

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তার বড় বোনের মেয়ে দিলরুবা নুসরাত জাহান। গতকাল বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এ দিন তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এদিন তার জেরা শেষ হয়নি। অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য চলতি মাসের ২৬ তারিখ দিন ধার্য করেন আদালত। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামসুদ্দিন জুম্মন বিষয়টি জানিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেকে অপছন্দ করতেন। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরাকে গুলি করে হত্যা করেন মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালত। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত