বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, নতুন সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হলো, কার প্ররোচনায় করা হচ্ছে? তা জানা দরকার।
তিনি বলেন, শিক্ষার নামে আমরা অশিক্ষা ও কুশিক্ষা গ্রহণ করছি। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশের পরিণতি কী হবে! তাহলে কি সরকারের উদ্দেশ্য অশিক্ষা ও কুশিক্ষা দিয়ে দেশ ধ্বংস করা?
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ফোরামের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, শিক্ষা জিনিসটা আসলে কী, সেটা অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি, আদিম সমাজে হাজার বছর আগে মানুষ যেভাবে বসবাস করত আর আজকের সভ্য সমাজে যেভাবে বসবাস করে-এ দুইয়ের মধ্য যে ব্যবধান, তা-ই শিক্ষাব্যবস্থা। এবং শিক্ষা মানুষকে পরিবর্তিত করেছে। জঙ্গলে বসবাস করা আদিম মানুষকে আজকের সভ্য সমাজে নিয়ে এসেছে- এটাই শিক্ষার মূল কথা। আজকে সরকার কোন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন করেছে, সেটা প্রত্যেক নাগরিকের প্রশ্ন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এক হাজারটির মধ্য আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম নেই। কিন্তু প্রথম ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৫০ থেকে ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার। এর দ্বারা প্রমাণিত, আমেরিকা অর্থ ও শিক্ষা সবক্ষেত্রে শক্তিশালী।
নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন। এ সময় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ কামরুল আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন মোহাম্মাদ নুরুজ্জামান। অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ, সাইফুর রহমান মিহির, এম জহির আলী, নেসার আহমেদ নান্নু প্রমুখ।