ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন

গতকাল রোববার সকালে কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপ-পরিচালক এম. রবিউল ইসলাম কমিশন চেয়ারম্যানের সঙ্গে কারাগার পরিদর্শন করেন। তারা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করে নিম্নলিখিত সুপারিশ করে- ১. কারাগারে ডাক্তার ও সাইকোলজিস্টের সংকট দূর করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা; ২. কারাগারে থাকার ব্যবস্থা আরো পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর করা; ৩. তৃতীয় লিঙ্গের হাজতিদের জন্য পৃথক কারা ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, তা না হলে তাদের নিগ্রহের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৪. গাজীপুরে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোনো প্রিজন সেল নেই। ফলে গুরুতর অসুস্থ কারাবন্দিদের ঢাকায় পাঠাতে হয়।

এতে পথে অনেকে মৃত্যুবরণ করে। তাই, উক্ত হাসপাতালে প্রিজন সেল করা প্রয়োজন; ৫. কারাগারটিকে সংশোধনাগারে রূপান্তরের প্রক্রিয়া সন্তোষজনক নয়। এ লক্ষ্যে কারাগারকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। ৬. কারারক্ষী ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য কারা একাডেমি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি; ৭. মহিলা কারাগার পরিদর্শনকালে জানা যায়, অধিকাংশ নারী কারাবন্দি মাদক মামলার আসামি, যা উদ্বেগজনক। মাদক সেবন, পাচার ও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি; ৮ .কারাগারে মাদক পাওয়া যায়, গণমাধ্যম ও অন্যান্য সূত্রে দেশের বিভিন্ন কারাগার সম্পর্কে এ ধরনের তথ্য আমরা প্রায়শই লক্ষ্য করে থাকি। কারাগার একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থান হওয়ার পরও সেখানে এ ধরনের কার্যক্রম জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। কারাভ্যন্তরে মাদকের সরবরাহ রোধে অতি দ্রুত কঠোর ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সমীচীন মর্মে কমিশন মনে করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত