ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির (ইউটিএস) একদল গবেষক একটি নতুন ডিভাইস তৈরি করেছেন যা রক্তের নমুনা থেকে ক্যান্সার কোষ শনাক্ত এবং বিশ্লেষণ করতে পারে। এই প্রযুক্তি ডাক্তারদের আক্রমণাত্মক বায়োপসি সার্জারি এড়াতে এবং চিকিৎসার অগ্রগতি নিরীক্ষণ করতে সক্ষম করে। ক্যান্সার অসুস্থতায় অস্ট্রেলিয়ায় মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান মরণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যাদের ক্যান্সারের সন্দেহ রয়েছে, বিশেষ করে লিভার, কোলন বা কিডনির মতো অঙ্গে, তাদের রোগ নির্ণয়ের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। ইউটিএস স্কুল অব বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক মজিদ ওয়ারকিয়ানি বলেন, বায়োপসি করতে গেলে রোগীরা অস্বস্তি বোধ করেন। সেইসাথে অস্ত্রোপচার এবং মোটা অঙ্কের খরচের কারণে জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। তবে যথাযথ চিকিৎসার জন্য সঠিক ক্যান্সার নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক মজিদ বলেন, ‘রক্তের নমুনায় টিউমার কোষের মূল্যায়নের মাধ্যমে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিস্যু বায়োপসি করার চেয়ে এই প্রযুক্তি অনেক কম আক্রমণাত্মক। এটি ডাক্তারদের বার বার পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার প্রতি রোগীর প্রতিক্রিয়া জানা যায়।’ স্ট্যাটিক ড্রপলেট মাইক্রোফ্লুইডিক ডিভাইসটি দ্রুত সঞ্চালিত টিউমার কোষ শনাক্ত করতে সক্ষম। এটা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়া টিউমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে। ডিভাইসটি সাধারণ রক্তের কোষ থেকে টিউমার কোষকে আলাদা করতে ক্যান্সারের একটি বিপাকীয় স্বাক্ষর ব্যবহার করে। অধ্যাপক মজিদ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘১৯২০ এর দশকে অটো ওয়ারবার্গ আবিষ্কার করেছিলেন যে, ক্যান্সার কোষগুলো প্রচুর গ্লুকোজ গ্রহণ করে এবং এরফলে আরও ল্যাকটেট উৎপাদন করে। আমাদের ডিভাইস পিএইচ সংবেদনশীল ফ্লুরোসেন্ট রঞ্জক ব্যবহার করে বর্ধিত ল্যাকটেটের জন্য একক কোষ নিরীক্ষণ করে যা কোষের চারপাশে অ্যাসিডিফিকেশন শনাক্ত করে।’