ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ টাকা কেন তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট মুরগির অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করছে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো দরকার। একই সঙ্গে তিনি জানান, প্রত্যেক দোকানে মূল্য তালিকা লাগাতে হবে। অন্যথায় বাজার কমিটির বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পাইকারি ও খুচরা পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের ডিজি। এর আগে কয়েক দিন বিভিন্ন পাইকারি মুরগির বাজার, মুরগির দোকানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। এসময় নানা ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে ব্যবসায়ীদের অধিদপ্তরের তলব করা হয়েছিল। এসময় মহাপরিচালক বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সারা দেশে অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে বাজার অস্থিতিশীল করছে। এক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো দরকার। এছাড়া মুরগির উৎপাদন খরচ যেখানে ১৬৭ টাকা, সেখানে মুরগির (ব্রয়লার) দাম ২৫০ টাকা কেন তা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে মুরগির দাম ২৫০ টাকা নিয়ে বিশ্লেষণ করা দরকার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে মুরগির মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সব সংস্থার সঙ্গে কথা বলব। আলোচনায় তিনি আরও বলেন, দোকানে অবশ্যই মূল্য তালিকা থাকতে হবে, ক্রয়-বিক্রয় রসিদ থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে বাজার কমিটিকে দায়ী করে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। এসময় দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ক্রয়ের পাকা রসিদ বা ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ না করা, ক্রেতাকে ক্যাশ মেমো না দেয়া, ওজনে কম দেয়া, আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থা বা কর্তৃপক্ষকে অসহযোগিতা করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।