রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতি গর্বিত। গত বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ভাষণটিকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে চিন্তা করতাম, আজ তা বিশ্বস্বীকৃত। জাতির জনকের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে তিনি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। এটি শুধু বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে এমন নয়, আজও তা বিশ্বের সকল নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং শৃঙ্খলিত মানুষের অনুপ্রেরণা হিসেবে প্রতিফলিত হয়। এ ভাষণের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী হয়েছেন এবং বাঙালিকে বিশ্বজনীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটিকে জুলিয়াস সিজার, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, আব্রাহাম লিংকনসহ পৃথিবীর অনেক বড় বড় নেতার বক্তৃতার সঙ্গে আমরা তুলনা করতাম। আব্রাহাম লিংকন ৩ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। সেটি ছিল লিখিত। আর বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা ছিল দেশাত্মবোধজাত এবং তাৎক্ষণিকভাবে উৎসারিত। এজন্য বঙ্গবন্ধুর ভাষণই বিশ্ব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ। এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯ মিনিটের সেই ভাষণ সেদিন কেবল বাঙালি জাতিকেই উজ্জীবিত করেনি, পাল্টে দিয়েছিল বিশ্ব মানচিত্র। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিটি বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। এর মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন মাতৃভূমির স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম এবং অর্জন করেছি স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফায়েক উজ্জামান। আলোচনা করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু। এ সময় দেশ-বিদেশের অসংখ্য শ্রোতা বঙ্গবন্ধু পরিষদের এ আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
