ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকার বাইরেও হবে আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা

বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকার বাইরেও হবে আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা

শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ ঢাকায় আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি আগুনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে জেলায় জেলায় আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল রোববার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে হেলথ বুলেটিন ২০২০ মোড়ক উন্মোচন ও সিম বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাই সব উন্নত টেকনোলজি চালু করেছেন। যারা সুস্থ লোক, শিক্ষিত তারাই স্মার্ট। শিক্ষিত এবং স্মার্ট জনগণ নিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে ওঠবে। সম্প্রতি পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কিছু ঘাটতি রয়েছে। যার জন্য বিভিন্ন জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটছে। মানুষ গ্যাস থেকে বা বিভিন্নভাবে আগুনে দগ্ধ হচ্ছে। আগুন যেন না লাগে সেদিকে সতর্কতা বাড়াতে হবে। যারা আহত হচ্ছেন, তাদের ঢাকায় আনতে হচ্ছে। তাই শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট ছাড়াও সব ক্ষেত্রে এই রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। জেলা পর্যায়েও এই সেবা দিতে হবে। হেলথ বুলেটিনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরো হেলথ সেক্টরের কার্যক্রমই হলো হেলথ বুলেটিন। এর মাধ্যমেই জানা যাবে হেলথ সেক্টরে কী কী উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের এখন লক্ষ্য ডিজিটাইলেশন। তার প্রক্রিয়া চলছে। অনুমোদন হয়ে গেলেই আমরা কাজ শুরু করব। ‘গত তিন বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে প্রধানমন্ত্রী কাজ করেছেন। তার মধ্যে স্বাস্থ্যখাতেও অনেক কাজ করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা যাতে ভালো হয়, তার জন্য এই সেবায় যারা জড়িত তাদের সম্মান দেখিয়েছেন। চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে এসেছেন,’ যোগ করেন জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অনেক উন্নয়নের কথা আপনারা জানেন না। স্বাস্থ্য বিষয়ক যতগুলো ইনস্টিটিউট আছে, তার আইটি সেক্টরে উন্নয়ন করা হয়েছে। আইটির মাধ্যমে আমরা করোনার সময় নানাভাবে সেবা দিয়ে এসেছি। টেলিমেডিসিন, ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে রোগী দেখা হয়েছে। আমরা আটটি ডিভিশনেই মানসম্মত সেবাদানের জন্য হাসপাতাল করতে চাই। এটাই আমাদের স্বপ্ন।

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন মানুষের মধ্যে একটু আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। আমরা যদি ভালো সেবা দিই, হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি, ভালো ব্যবহার করি তাহলেই মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’ এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, আতিকুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধ্যাপক আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশিদ আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত