সিরাজগঞ্জের উল্লপাড়া পৌর এলাকার চাঞ্চল্যকর পুলিশ কনস্টেবল মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ঘরে চুরি করতে গিয়ে তাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে একই এলাকার কাওয়াক দক্ষিণ মহল্লার অধিবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উল্লাপাড়া মডেল থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, পুলিশ কনস্টেবল মোয়াজ্জেম হোসেনের চাকরির শেষ দিকে নিজ থানাতেই কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ডিউটি শেষে বাসায় যান ওই কনস্টেবল। পরদিন তিনি কর্মস্থল থানায় না আসায় ওইদিন দুপুরে পুলিশ ওই এলাকার নবগ্রাম মহল্লার তার বাসায় খোঁজ নেয়। তার ঘরের দরজা খোলা দেখে কক্ষে ঢুকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশ। তার প্রথম স্ত্রী অন্যত্র বসবাস করে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ওই মহল্লায় বসবাস করলেও বেশ কিছুদিন ধরে তিনি একাই বসবাস করছিলেন। দুর্বৃত্তরা গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ওইদিন তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি ওই মহল্লার মৃত জেকাত সরকারের ছেলে এবং ওই থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ব্যাপারে তার ছেলে বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে। এ মামলার পর পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার) পিপিএম’র (বার) দিক নির্দেশনায় পুলিশ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মামলার বিশেষ তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার রাতে ওই যুবককে উল্লেখিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘরে চুরি করতে গেলে ওই পুলিশ কনস্টেবল টের পান। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ মর্মে শনিবার আদালতে সে ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
