চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে দূষিত শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বেশিরভাগ সময়েই শীর্ষে ছিল। কখনো আবার কিছুটা উন্নতিও হচ্ছে। তবে গত কয়েক মাস ধরে শীর্ষ দশের মধ্যেই ঘুরছে ঢাকা। সবশেষ গতকাল সোমবার বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান সপ্তম স্থানে। অবশ্য একদিন আগেও ঢাকার অবস্থান ছিল নবম। গতকাল সকাল ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ১৬১। বাতাসের যে মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়ে থাকে। একই দিনে স্কোর ২২১ নিয়ে বিশ্বের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ভারতের দিল্লি। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। গতকাল সকাল ১০টায় ১৯৩ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নেয় পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয় স্থানে থাকা নেপালের কাঠমান্ডুর স্কোর ১৮৩। আর পাকিস্তানের করাচি আছে চতুর্থ স্থানে, স্কোর ১৮২। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। পাশাপাশি ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। সেই সঙ্গে ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। উল্লেখ্য, বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কেটেছে এখানকার বাসিন্দাদের। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা এখনো চলছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত বছরের নভেম্বর, ডিসেম্বর ছাড়াও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।