ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাবিতে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে হামলার প্রতিবাদ

রাবিতে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে হামলার প্রতিবাদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ‘স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে জোহা চত্বরে তার এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অথর্নীতিসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস নেয়া থেকে বিরত আছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এর আগে গত সোমবার রাতে তিনি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন- ‘রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসী এবং পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে আগামীকাল ক্লাস নেয়া থেকে বিরত থাকব। আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাতে জোহা চত্বরে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নগ্নপদে দাঁড়িয়ে অবস্থান করব। শিক্ষার্থীদের ওপর এই পৈশাচিক হামলায় একজন অভিভাবক হিসেবে আমি শঙ্কিত, ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। আমার ছাত্রের রক্তের দাগ এখনো মুছেনি, শরীরের ব্যথা এখনো কমেনি, মাথা-চোখ, শরীরের ব্যান্ডেজ এখনো খুলেনি, সেলাই এখনো কাটেনি, হাসপাতাল থেকে এখনো ছাড়েনি। এই অবস্থায় আমি ক্লাস নিতে পারি না।’

জোহা চত্বরে কর্মসূচির শেষের দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফরিদ উদ্দিন। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু এর সুরাহা হচ্ছে না। অভিভাবকরা এখানে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া করার জন্য পাঠান, তারা এ বিষয়গুলোয় চরম উদ্বিগ্ন। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে অত্যন্ত ব্যথিত ও ক্ষুব্ধও বটে।’ অনেক মহল এ বিষয়টাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ফরিদ উদ্দিন খান।

গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক বাসচালকের তর্কাতর্কির সূত্র ধরে নগরের বিনোদপুর বাজারে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজন এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। হামলা-সংঘর্ষ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং রাবর বুলেটে আহত হন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটি পুলিশ বক্স ও রাস্তার ধারের অন্তত ৩০টি দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে গত রোববার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত