ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাঙ্গুনিয়ায় সমাবেশে তথ্যমন্ত্রী

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ শেখ হাসিনার অবদান

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ শেখ হাসিনার অবদান

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানে দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলে এখন বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে বসে দেখে দেখে কথা বলা যায়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, প্রত্যেক ঘরে ঘরে টেলিভিশন, ফ্রিজ, আবার অনেকের ঘরে এসি। এসব ১৪ বছর আগে ছিল না। তখন মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ আসত। আর এখন বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে মাঝেমধ্যে যায়। এটাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্র।’

তিনি বলেন, করোনার সময় বিএনপি নেতাদের দেখা যায়নি, কোনো দুর্যোগে তাদের পাওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের দলের নেতারা সবসময় মানুষের পাশে থাকে। আওয়ামী লীগ যে রাস্তাঘাট করেছে তার গর্তগুলো ভরাট করার ক্ষমতা নেই বিএনপির। অথচ ভোট এলে তারা সুন্দর সুন্দর জামা-কাপড় পড়ে আসবে, বড় বড় কথা বলবে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’

গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার আয়োজনে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পৌর কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার। পৌর কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন শাহ’র যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সদস্য ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উত্তরজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উত্তরজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আকতার হোসেন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ রিপোর্টার জিগারুল ইসলাম জিগার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর তারেকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে দেশে ২২ প্রকারের ভাতা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে চাল দেয়া হচ্ছে, ১ কোটি ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে ৫ কোটি মানুষকে স্বপ্লমূল্যে পণ্য দিচ্ছে, ৫০ লাখ ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে, ঈদ, কুরবানি এবং পূজায় বিনাপয়সায় চাল দেয়া হয়। বিনা পয়সায় বছরের প্রথম দিন নতুন বই দেয়া হয়। এই করোনার সময় বিনা পয়সায় টিকা দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। এই ধরনের ভাতা এবং সাহায্য এগুলো আগে কখনো ছিল না। আগে তো খালেদা জিয়াও ছিলেন, এরশাদও ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ছিল। তারা তো এসব করেনি। এগুলো আওয়ামী লীগের সরকার শেখ হাসিনার সরকার এবং নৌকা মার্কার সরকার এসব করেছে। আমরা এতসব করব, মানুষের পাশে থাকব, তাহলে নির্বাচনে আমরা কি ভোটটি পাা না?

নিজ নির্বাচনি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে রাঙ্গুনিয়ার মানুষকে নানা আশ্বাস দিয়ে দিয়ে ঠকানো হতো। রাঙ্গুনিয়া থেকে বরাদ্দ কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো। আর এখন আমি অন্য জায়গা থেকে বরাদ্দ কেটে রাঙ্গুনিয়ায় আনি। বর্তমান রাঙ্গুনিয়া উন্নয়নে পাল্টে গেছে। সবার জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। সামনে নির্বাচন, আশা করি আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত