ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কলকাতাগামী কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী যাত্রী অফলোড প্রসঙ্গে বিমানের বক্তব্য

কলকাতাগামী কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী যাত্রী অফলোড প্রসঙ্গে বিমানের বক্তব্য

গত পহেলা মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর কলকাতাগামী ফ্লাইট বিজি৩৯১ এর কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী এক সম্মানিত যাত্রীকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অফলোড করার বিষয়টি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন পোর্টালসহ অন্যান্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত ই-ভিসার নিয়মানুসারে ভারতে গমনের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের কমপক্ষে দুই পাতা খালি থাকা বাধ্যতামূলক। যদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ নিয়ম লঙ্ঘন করে সে ক্ষেত্রে বৃহৎ অঙ্কের জরিমানা উক্ত এয়ারলাইন্সকেই বহন করতে হয়। অনেক দেশে নিয়মটি প্রচলিত না থাকলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বিষয়টি এখনও চালু আছে। International Air Transport Association (IATA) Gi Travel Information Manual (TIM) এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ আমেরিকান পাসপোর্টধারী এক যাত্রীকে পাসপোর্টে কমপক্ষে ২ পাতা খালি না থাকা সত্ত্বেও এবং ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের যে কোন ধরনের জরিমানা দিতে সম্মত হওয়ায় বিমান তাকে বোর্ডিং এর অনুমতি দেয়। কিন্তু কলকাতা ইমিগ্রেশন তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি উপরন্তু ভারতীয় ইমিগ্রেশন এক্ট-২০০০ ভঙ্গের অপরাধে বিমানকে একলক্ষ ভারতীয় রূপি জরিমানাসহ সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে বিজি৩৯২/৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ ফেরত পাঠায়। উক্ত যাত্রী ঢাকায় আগমনের পর স্বেচ্ছায় বিমানকে একলক্ষ ভারতীয় রূপির সমপরিমাণ বাংলাদেশি ১, ২৭, ১১৫ টাকা পরিশোধ করেন। উল্লেখ্য, সম্মানিত কানাডিয়ান যাত্রীকে সমস্ত ঘটনাবলী বলা হয় এবং বিমানের সুনাম এবং জরিমানা রক্ষার্থে বিমানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাকে বিমানে আরোহনে অনুমতি দেয়নি এবং বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের নিয়মানুযায়ী তার বহির্গমন ইমিগ্রেশন সিল কর্তন করে তার ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেয়া হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, কনফার্ম টিকেটধারী কোন যাত্রী যদি সঠিক সময়ে বিমানবন্দরের (যাত্রা শুরুর কমপক্ষে ১ঘন্টা পূর্বে) কাউন্টারে রিপোর্ট করতে না পারেন অথবা তার বিদেশ যাত্রার বৈধ ডকুমেন্টসমূহ না থাকে তখন তার যাত্রা বাতিল হয়। সেক্ষেত্রে বিমানের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী পরিশোধকৃত টিকেট থেকে তারিখ পরিবর্তন অথবা রিফান্ডের ক্ষেত্রে ‘নো শো’ চার্জ কাটা হয়। তবে বিভিন্ন নিউজপোর্টালে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এর ফলে বিমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিমানের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত