রোজার প্রথম সপ্তাহে চিনির দাম কেজিতে কমবে ৫ টাকা
বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চিনিতে শুল্ক ছাড় দেয়ার কারণে কেজিতে সাড়ে ৪ টাকার মতো ছাড় পাওয়া যাবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমরা ব্যবসায়ীদের চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমানোর অনুরোধ করছি। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আশাকরি রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ষষ্ঠ সভা’ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক হিসাব-নিকাশ করে দেখেছি, চিনির দাম সাড়ে ৪ টাকার মতো কমানো যায়। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি ৫ টাকা কমানোর। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। যে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে, সেই সুবিধার পণ্য এখনো বাজারে আসেনি, আরো কয়েক দিন লাগবে। তারা কিছুদিন সময় চেয়েছেন। আশাকরি রোজার প্রথম সপ্তাহেই নতুন দামটা চলে আসবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা নিজে থেকে একটা কথা বলেছেন মিলগেটে যে দামে তারা দেয় তার থেকে ৫ থেকে ৬ টাকা লাভ করে দোকানে বিক্রি করে। সেটা চলবেই। তবে তারা নিজ উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি প্রধান শহরে মিলগেটের প্রাইসে ট্রাক সেল (বিক্রি) করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চিনি যথেষ্ট পরিমাণে আছে, মানুষের মনে ভয় লেগে আছে চিনি নেই। চিনি কিন্তু পাইপলাইনেও প্রচুর আছে। ফলে চিনি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। ব্যবসায়ীরা পাঁচ টাকা কম রেটে মিলগেট থেকে দেশের সবস্থানে চিনি পৌঁছে দেবে। ব্যবসায়ীদের অবস্থান পজিটিভ আছে। আমরা তাদের বলেছি, আগামীকাল (আজ) থেকে মনিটরিং করতে শুরু করবো। নতুন ট্যারিফে পণ্য ছাড় করতে শুরু করেছেন কি না। যদি না করে তাহলে আমরা বলব তিন দিনের মধ্যে করতে হবে। সেটা তাদের অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ নেই। আতঙ্কিত হয়ে কেউ কিনতে যাবেন না। আমরা যেভাবে কিনি, সেইভাবে কিনব। যথেষ্ট মজুত আছে। দেশে কৃষিপণ্য খুব ভালো আছে।
তিনি বলেন, রমজান একেবারে কাছাকাছি এসে গেছে। পণ্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তাদের যাতে কষ্ট কম হয়, এ বিষয়ে আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। এ নিয়ে গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে কথা বলছি।
তিনি বলেন, রমজান সামনে রেখে আমাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাদের কাছে যে চিনি-তেল আছে, তাতে বর্তমানে বাজারে যে দাম চলছে বা যেটা ঠিক করে দেয়া আছে, তার চেয়ে বাড়ার কোনো কারণ নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে শাকসবজির গাড়িতে যাতে চাঁদাবাজি না হয়, তা শক্তভাবে মনিটর করতে বলা হয়েছে। সচিবকে বলেছি, ডিসি পর্যায়ে সরাসরি বলে দিতে মহাসড়কগুলো দিয়ে খাদ্যসামগ্রী, শাকসবজি নিয়ে আসা যায়। এসব ট্রাক যাতে কোথাও না থামায়। কোনো অবস্থায় চাঁদাবাজি করতে দেয়া যাবে না।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, আমাদের দেশের বাজারে কমানো হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এটা সত্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের তেলের দাম কমলেও ডলারের দাম বেড়ে গেছে। দ এমনটা হতো তেলের দাম কমেছে ডলারের দাম আগের অবস্থা রয়েছে তাহলে তেলের দাম কমানো যেত। তারপরও প্রতিনিয়ত আমরা দেখছি। টিপু মুনশি বরেন, রমজান মাস সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের বলেছি আমরা আবার রমজানের পর আপনাদের নিয়ে বসব।