পাহাড়ে সুন্দর পরিবেশ গড়ার আহ্বান পার্বত্য সচিবের
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদা বেগম বলেছেন, মানুষের দ্বারা এবং প্রাকৃতিক কারণে নানাভাবে প্রতিনিয়ত পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে বৈশ্বিক জলবায়ুর ব্যাপক পরির্বতন ঘটছে। এ অবস্থাকে মোকাবিলা করতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় পাহাড়ে বন সৃজনে সবসময় আন্তরিক। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈচিত্র্যময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় স্থানীয় জনসাধারণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। সম্প্রতি দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেইন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) যৌথ আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হিমালয়ান রেজিলাইনস এনাবেল অ্যাকশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, আইসিআইএমওডি’র অ্যাকশন এরিয়া কো-অর্ডিনেটর বন্দনা শাক্য, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পার্বত্য বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক পারভীন তিবরীজিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, জীববৈচিত্র্য প্রায় ধ্বংসের পথে। ছোট ছোট ঝিরি, ঝরণা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির ওপর নানাভাবে অত্যাচার করে আমরা তা ধ্বংস করছি। তিনি আরো বলেন, ৭২৬ কিলোমিটারের কাপ্তাই হ্রদ আমাদের বনজ সম্পদ ধ্বংস করেছে। কৃষি জমি ধ্বংস করেছে। এখনো সময় আছে- পরিবেশবিরোধী সব কার্যক্রম বন্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, নেপালের হিন্দুকুশ হিমালয়ান পার্বত্য অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নেপালভিত্তিক সমন্বিত পর্বত উন্নয়নের আন্তঃসরকারি সংস্থা International Center for Integrated Mountain Development (ICIMOD) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে ‘ICIMOD's Annual Mountain Prize-2019’ এর সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যটন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নতুন করে কাজ করার কথা রয়েছে।