গাইবান্ধায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ-উন্নয়ন কেন্দ্র ও সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জর্নালিস্ট ফোরামের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চরগ্রাম কুন্দেরপাড়ায় এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন। গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান এম. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জর্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লবের সঞ্চালনায় গণশুনানিতে বিচারক প্যানেলে ছিলেন পানি ও জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. আইনুন নিশাত, সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জর্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট আশীষ গুপ্ত, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম। দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জলবায়ু গণশুনানি’র উদ্বোধনের পর অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন গণ-উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান এম. আবদুস সালাম। পরে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত চরবাসীর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে রায় প্রদান করেন বিচারক প্যানেলের সদস্যরা। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ জন নারী-পুরুষকে ‘জলবায়ু যোদ্ধা’ পদক প্রদান করা হয়। পদক বিতরণ শেষে অতিথিরা বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলগুলোসহ নদ-নদী অববাহিকায় চর-দ্বীপচরের মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত তিন দশকে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনে বিপর্যস্ত এসব জনপদের মানুষ। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে একদিকে যেমন সমুদ্র পৃষ্টের তলদেশ উঁচু হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে নদ-নদীর নাব্যতা হারিয়ে গতিপথে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রের পানি উপকূলীয় এলাকায় উপচে পড়ছে।