আদাবরে শিশু ধর্ষণ সিএনজিচালক গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
রাজধানীর আদাবরে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা একটি বিকৃত যৌনাচার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিএনজিচালক সেলিমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে আদাবর থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিসি তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এসময় আজিমুল হক আরো বলেন, গত ১৪ মার্চ রাতে শিয়া মসজিদ এলাকায় ওই শিশু এবং তার দুই বোনের সঙ্গে পরিচয় হয় সিএনজিচালক সেলিম ও আরেকজনের। পরে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমের দুই বোন চলে গেলে শিশুটিকে প্রলোভনে ফেলে আদাবর উড়াল পাখি লেগুনা স্ট্যান্ডের একটি শৌচাগারের ভেতর নিয়ে যায় সেলিম। তারা সেখানে শিশুটিকে গণধর্ষণ করে। এতে ওই শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সেখান থেকে বের হয়ে শিশুটি তার বোনকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়।
পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করে। আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যালে যাই। এ ঘটনায় আদাবর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার পর আমরা ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে একটি সিএনজি ও তার চালককে শনাক্ত করি। পরে তাকে বাড্ডার সাতারকুল থেকে সিএনজিসহ চালক সেলিমকে গ্রেপ্তার করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে আমাদের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত আরো একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিশুটি এখন আগের চেয়ে একটু ভালো আছে। আমরা বলতে চাই, এটি একটি বিকৃত যৌনাচার। অবুঝ এই শিশুটিকে যেভাবে তারা ধর্ষণ করেছে তা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। সেলিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আজিজুল হক, আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের ও আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।