সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা প্রতারক ও চোর চক্রের ৭ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ সদস্যরা। তারা হলো, ঢাকা মিরপুর-১২ এর কালাপানি বস্তির সুজন, ঢাকার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া আর্টিবাজার গ্রামের শাহাদত মোল্লা, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মগরমপুর গ্রামের সোহেল রাসেল, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া বাজারের শফিউজ্জামান, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের আতাউর রহমান, একই গ্রামের একরামুল হক ও বাঘা উপজেলার গাঁওপাড়া গ্রামের শামীম আহম্মেদ। র্যাব-১২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এরশাদুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ভূঁইয়াগাঁতী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী বিপ্লব শেখ গত সোমবার সকালে কাপড় ক্রয়ের জন্য যাত্রীবাহী বাসযোগে টাঙ্গাইলের করটিয়া যাচ্ছিল। এ বাসটি কামারখন্দ উপজেলার ওভার ব্রিজের ওপর পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ওই চোর চক্রের এক সদস্য কাপড় ব্যবসায়ীর শরীরের ওপর বমি করে দেয়। এ সময় ওই চক্রের অন্য সদস্যরা ব্যবসায়ীর শরীর থেকে বমি পরিষ্কার করার সময় পকেটে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বিপ্লব শেখ একটি মোটরসাইকেল নিয়ে কড্ডার মোড়ে গিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যদের খুঁজতে থাকে এবং একজনকে চিনতে পেরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করে। কিছুক্ষণ পর র্যাব-১২ এর একটি টহল গাড়ি দেখে কাপড় ব্যবসায়ী র্যাবের কাছে ঘটনাটি জানায়। এরপর ?র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন পিপিএমের দিকনির্দেশনায় র্যাবের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও ধৃত সদস্যের দেয়া তথ্যমতে গত মঙ্গলবার প্রায় দিনভর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা প্রতারক ও চোর চক্রের সক্রিয় ওই ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকাসহ অটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।