একাত্তরের গণহত্যা দিবস আজ (২৫ মার্চ)। ভয়াল সেই কালরাত্রিতে স্বাধীনতাকামী শহীদদের স্মরণ করেছে যুবলীগ। এতে সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ দাবি জানিয়েছেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। গতকাল শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘কালরাত্রি স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান। সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত, ২৫ মার্চের কালরাত। অস্ট্রেলিয়ার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ মানুষকে, ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। গণহত্যার ইতিহাসে যা এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ওই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের ওপর পরিকল্পিতভাবে নৃশংস হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করে মানুষ হিসাবে তারা সমগ্র মানব জাতিকে কলঙ্কিত করেছে, ছোট করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য আমাদের দেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এ দেশের মানুষকে ওইসব হায়নাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।’ কেন এখনো ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসেনি প্রশ্ন রেখে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘কেন এখনো ২৫ মার্চের হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে। বাঙালি সংস্কৃতি ও ইতিহাসে অনুরাগী হতে হবে।’ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, স্বাধীনতা পুরস্ককারপ্রাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।