‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক প্রকাশিত প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।
গতকাল রাজধানীর ডিআরইউতে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনবিষয়ক’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আবেদ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে যে দুইটি সংগঠন ও ব্যক্তিদের সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে তারা অনিবন্ধিত এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়। দুইটি সংগঠনের একটি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের সমাবেশে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে যে তথ্য দিয়েছিল, তা বিভ্রান্তিমূলক। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রতিবেদনে যে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে, তা যথাযথ নয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগের যোগ্যতা ও সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে দেশের গণতন্ত্রকে ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের কোনো দেশের গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ত্রুটিহীন নয়। বেশকিছু নাগরিক সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশন আইন করেছে, যা পূর্বে ছিল না। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে বেশ কিছু নির্বাচনে তাদের নিরপেক্ষতা, যোগ্যতা ও সাহসিকতার প্রমাণ দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ নিয়ে প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে, তা সঠিক নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনাবিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে আইনটির আপত্তিকর ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিতপূর্বক সত্যতা যাচাই ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার দরকার ছিল। তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উল্লেখিত ইস্যুতে সরকারের বিবেচনা ও যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার জেনারেল শাহাদাত হোসেন, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক ইকবাল বাহার প্রমুখ।