এমবিবিএস ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। জানা গেছে, সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তীতে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ১০ মার্চ ২০২৩ তারিখে সরকারি ও বেসরকারি সব মেডিক্যাল কলেজের জন্য একইসঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার পর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর লক্ষ্যে যথাসময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নির্দেশনা
প্রস্তুতকৃত জাতীয় মেধা তালিকার ৩৪ হাজার ৮৩৫ মেধাক্রম পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছুদের আবেদন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিডেটের মাধ্যমে অনলাইনে গ্রহণ করা হবে। আবেদনপত্র দাখিলের ফি এক হাজার টাকা। আবেদন দাখিলের সময় অনলাইন তালিকা থেকে সরকার স্বীকৃত সব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পছন্দক্রম উল্লেখ করতে হবে।
অনলাইনে আবেদন দাখিলের নির্ধারিত সময়ের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রার্থী মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুযায়ী কোনো মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত হবেন, তা প্রার্থীকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের কলেজ ভিত্তিক তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মেধাবী-অসচ্ছল কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে অনলাইন আবেদনে যাচিত তথ্য দিতে হবে। যারা এ কোটায় আবেদন করবেন, তারা শুধুমাত্র মেধাবী-অসচ্ছল কোটার আসনসমূহের জন্য বিবেচিত হবেন; সাধারণ কোটায় আবেদন করতে পারবেন না।
মেধাবী-অসচ্ছল কোটায় ভর্তিচ্ছুদের দালিলিক প্রমাণ মিথ্যা বা ভুল প্রমাণিত হলে আবেদনপত্র বাতিল হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ শতাংশ আসন মেধাবী-অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৩ এর কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করা হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানেই অনুমোদিত আসনের অতিরিক্ত কিংবা নীতিমালায় বর্ণিত প্রক্রিয়ার বাইরে দেশি বা বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির পূর্বে বা পরে দেশি বা বিদেশি ভর্তি প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কোনো তথ্য মিথ্যা বা ভুল প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করাসহ আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।