ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জামায়াতের ১১ নেতাকর্মী রিমান্ডে

জামায়াতের ১১ নেতাকর্মী রিমান্ডে

রাজধানীর গুলশান থানার শাহজাদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৭ আসামিকে হাজির করে পুলিশ।

এরপর বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. ওহিদুল ইসলাম। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী জামিনের আবেদন নাকচ করে ১১ জন আসামিকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন, হোসাইন বিন মানসুর, মুফতি রহমতুল্লাহ বিন তোফাজ্জল হোসেল, একেএম আব্দুস সালাম, আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, সাইমুম জামিল, মো. হাফিজুর রহমান, আঞ্জুম বিন কামাল, নূর মোহাম্মদ মনির, সালাহউদ্দীন সাব্বির, আব্দুর নূর ওরফে নূরনবী ও মো. নাসির উদ্দীন। এছাড়া দুই নারী ও তিন শিশুসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক, রোকন রেজা, জিল্লুর রহমান ও এমআর মাসউদ সংবাদিকদের বলেন, গুলশানের এক ইসলামিক সেন্টারে তারাবিহ নামাজ থেকে তিন শিশুসহ দুইজন নারী, তিনজন হাফেজ ও তারাবি নামাজে আগত মুসল্লিদের আটক করে পুলিশ। গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশান থানা পুলিশ নারী শিশুসহ ১৭ জনকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের খোঁজখবর নিতে গুলশান থানায় গেলে আরো দুইজনকে আটক করে। তারা আরো বলেন, ইসলামিক এন্টারপ্রাইজ বা কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রটি দীর্ঘ পাঁচ বছর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিচালনা করে আসছেন। এখানে বয়স্কদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে পুরুষ ও নারীরা পৃথক ব্যবস্থাপনায় তারাবিহ নামাজ আদায় করে থাকেন। নিয়মিত কিয়ামুল লাইল হয়ে থাকে সেন্টারটিতে। এছাড়া বয়স্করা সহিহ কোরআন শিক্ষা ক্লাস করে থাকেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, শাহজাদপুরের একটি বাসায় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বৈঠক করছেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে কিছু জিহাদি বই ও ককটেল বোমা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত