চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসা খাতে সাধারণ মানুষের অনেক টাকা নিজ পকেট থেকে যায়। এটি কমানো উচিত। এই খরচ ওষুধের পেছনে বেশি। আমাদের দেশে ওষুধের দাম কম, তারপরও এতো বেশি খরচ হচ্ছে কেন এটি দেখতে হবে। অনেকেই বলে থাকেন, প্রেসক্রিপশনে বেশি ওষুধ লেখা হয়। যতটুকু ওষুধ প্রয়োজন তার থেকে বেশি প্রেস্ক্রাইব করা হয়। এদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রেসক্রিপশন যেন যথাযথ হয়, প্রয়োজন অনুযায়ী হয়। এখানে যেন কোনো বিজনেস ইন্টেশন কাজ না করে। সেদিকে আমাদের খেয়াল করতে হবে। যেটা দরকার সেটাই আমাদের দিতে হবে। যে সেবা দরকার সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেনেসাঁয় আয়োজিত পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) খসড়া স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা জনবল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত জনবল দরকার। এটি আমাদের স্বাস্থ্য খাতের এক নম্বর সমস্যা। যদি সবিস্তরে প্রশিক্ষিত জনবল থাকে তাহলে স্বাস্থ্য খাত যথাযথভাবে কাজ করবে। জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে শয্যা দুই-তিন গুণ বেড়েছে। ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে তৈরি হচ্ছে। ভ্যাকসিন তৈরি করছি। এগুলো বাইরের মানুষ বুঝতে পারে না। তিনি বলেন, কীভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়, করোনা আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছে। আমাদের চিকিৎসকরা বড় একটা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। করোনায় ১০ হাজার ডাক্তার, ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ হয়েছে। তারপরও উন্নতির কোনও শেষ নেই। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, মেডিক্যালে সিট বেড়েছে, নার্সিংয়ে সিট বেড়েছে। আমাদের ১৭ কোটি জনসংখ্যা। যতই শয্যা বাড়াই, কম পড়ে যাচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, মেন্টাল হাসপাতালে শয্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, তারপরও আমরা জায়গা দিতে পারছি না। কারণ স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের আস্থা বাড়ছে, তারা হাসপাতালে আসছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এবিএম খুরশিদ আলম প্রমুখ।