কুষ্টিয়ায় মাহবুবউল আলম হানিফ

আমরা সবসময় স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে আমাদের আবেগ অনুভতি জড়িয়ে আছে। সেই স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতা দিবসকে নিয়ে কটাক্ষ করে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ ছাপানো চরম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে এটা একটি গভীর ষড়যন্ত্র। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াটাই যৌক্তিক। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরে যদি কারো মনে আঘাত লাগে। তাহলে বুঝতে হবে তারাও অংশীদার, এজন্য তাদের মনে আঘাত লেগেছে, কষ্ট লেগেছে। আমরা সব সময় স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের মূল জায়গা স্বাধীনতা, স্বাধীনতা আমাদের অস্তিত্ব, সেখানে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব। জনগণও সেটাই প্রত্যাশা করে। আর এতে যাদের মনে আঘাত লাগছে, বুঝতে হবে তারাও এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। সংবাদটি সরিয়ে দিয়ে এটা যে ষড়যন্ত্র তা প্রমান করেছে প্রথম আলো। ওই বাচ্চা তো ওইসব কথা বলেনি, পরে টিভির সাক্ষাতকারে সে বলেছে। হানিফ বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এটি নতুন নয়। এক-এগারোর সময় শেখ হাসিনাকে মাইনাস করারও ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো, পদ্মা সেতু নিয়েও অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো। যা এই পত্রিকায় ফলাও করে সেসময় ছাপানো হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে এটা আগের মতই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরেকটি গভীর ষড়যন্ত্র, যা মেনে নেওয়া হবে না। হানিফ আরো বলেন, ২৬ মার্চ যে সংবাদটি পরিবেশন হয়েছিল সেটি ষড়যন্ত্র ছিল, মিথ্যা ছিল, সেটি প্রথম আলো সংবাদটি সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে। তারা যদি মনে করে সংবাদটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায়নি, তাহলে তারা কেন সরিয়ে নিয়েছে। তারা সরিয়ে নিলে কী হবে, ততক্ষণে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। যেটা প্রচার হওয়ার সেটা প্রচার হয়ে গেছে। এটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছে। ওই বাচ্চাটি ওইভাবে উদ্ধৃতি করেনি, বাচ্চাটিকে ১০ টাকা দিয়ে করানো হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে সাংবাদিকদের। সংবাদ মাধ্যমের বিশাল বিস্তৃতি ঘটানো হয়েছে। আগে একটি টেলিভিশন ছিল এখন ৪২টি টেলিভিশন ও শতাধিক দৈনিক পত্রিকা দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা যেভাবে খুশি লিখছে। প্রতিদিন টিভিতে টকশো হচ্ছে। সেখানে সরকারের সমালোচনা করছে। তাদের তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার জায়গাটায় যদি আঘাত আসে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব। হানিফ বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস এবং স্বাধীন এই বাংলাদেশ। এই স্বাধীনতা দিবসে পত্রিকায় খবর ছাপবে আমাদের ইতিহাস নিয়ে, যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ৩৩৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়। এ সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।